|
|
|
|
|
|
খেলা |
টেবল জয় |
চন্দন রুদ্র |
রোগা পাতলা চেহারা। এক বার দেখলে মনেই হয় না জয়ের খিদে আছে। সম্প্রতি হাওড়া অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতি আয়োজিত ১৮তম সারা বাংলা র্যাঙ্কিং স্টেজ ওয়ান টেবল টেনিসে উত্তর ২৪ পরগনার সেই অনির্বাণ ঘোষই দ্বিমুকুট জিতে নজর কাড়ল। জোড়া খেতাব পেল উত্তর ২৪ পরগনার মেয়ে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ও।
পাঁচ দিনের এই সারা বাংলা টেবল টেনিসে ৫৪২ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। সিংহ ভাগ সাফল্য পেল উত্তর ২৪ পরগনা। ১২টি বিভাগের মধ্যে সাতটিতেই তারা সেরা হয়। নার্সারি গার্লসে তিয়াশা মণ্ডল, সাব-জুনিয়র বয়েজে রনিত ভঞ্জ, জুনিয়র বয়েজে অর্জুন ঘোষের সঙ্গে ইয়ুথ বয়েজ ও পুরুষ বিভাগে অনির্বাণ আর জুনিয়র গার্লস ও মহিলা বিভাগে সুতীর্থার জোড়া খেতাব সাফল্যের দৌড়ে উত্তর ২৪ পরগনাকে সবার আগে পৌঁছে দেয়।
হাওড়ায় সাফল্য বলতে নার্সারি বয়েজের ফাইনালে আন্দুলের রোহন ঘোষের জয়। সে হারায় হাওড়ার সুদীপ কুণ্ডুচৌধুরীকে। দু’জনেই শিবপুর ইউথ অর্গানাইজেশনে অনুশীলন করে। ফাইনালে উঠেও সাব-জুনিয়র গার্লসে উত্তর কলকাতার অদ্রিজা ব্রহ্মচারীর কাছে হেরে যায় উত্তর কলকাতার মহারানি গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সৃজনী দে। |
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
পুরুষ বিভাগে অপ্রত্যাশিত ভাবে হাওড়ার সিনিয়র অনির্বাণকে ১-৪ গেমে হারিয়ে সাড়া ফেলে দেয় নৈহাটির জুনিয়র অনির্বাণ। নীরেন্দ্রনাথ বিদ্যানিকেতনের নবম শ্রেণির ছাত্র অনির্বাণ টেবল টেনিস শেখে স্থানীয় ‘প্রচেষ্টা টেবল টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’-এ কোচ অমিত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়েও নজর কেড়েছে। বাবার মোবাইল রিচার্জের দোকান। টানাটানির সংসার।
আর এক দ্বিমুকুট জয়ী সুতীর্থাও নৈহাটির মেয়ে। দশম শ্রেণির পড়ুয়া। নৈহাটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের কোচ মিহির ঘোষের এই ছাত্রীটি বলল, “চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভাল লাগছে। এই প্রতিযোগিতায় এর আগেও একাধিক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।”
এই প্রথম হাওড়ায় সিনথেটিক ম্যাট পেতে হল স্টেজ ওয়ান টুর্নামেন্ট। আয়োজক ক্লাবের পক্ষে রমেন হাজরা বললেন, “যে কোনও র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টই এখন ম্যাটে হচ্ছে। রাজ্য প্রতিযোগিতাও হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ম্যাট এনে প্রতিযোগিতা করলাম।” তাঁর কথায়, “আমাদের এখানে তিনটি টেবলে প্রায় ৬০ জন প্রতিযোগী নিয়মিত অনুশীলন করে। আরও ভাল টেবল দরকার। তিনটি টেবলের জন্য ম্যাট পাততে লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন।”
একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে আসা অনির্বাণ নন্দী বললেন, “জেলায় ম্যাট দরকার। ম্যাট ছাড়া এখন ভাল টেবল টেনিস সম্ভব নয়।” ডব্লিউবিটিটিএ-র সচিব হেমেন ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি দেবকুমার বসু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ সফল প্রতিযোগীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। |
|
|
|
|
|