সন্ত্রাসবাদী হামলার ভয়ে কাঁপল লন্ডন |
অলিম্পিকের আগে সন্ত্রাসবাদী হামলার আতঙ্কে দিনভর সন্ত্রস্ত রইল লন্ডন। সাতসকালে লন্ডনের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। যাদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। পরে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫ এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এদের সঙ্গে অলিম্পিকে হামলা চালানোর নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে গোয়েন্দাদের দেওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতেই জেরার জন্য আটক করা হয়েছে ওই ছ’জনকে। তবে বেশি নাটক হয় ভোরবেলা প্রেস্টন থেকে লন্ডনগামী বাসে এক সন্দেহজনক যাত্রীকে ঘিরে। লিচফিল্ডের কাছে বাসের এক যাত্রী ড্রাইভারকে জানান, তাঁরই এক সহযাত্রী একটি কৌটো থেকে অন্য একটি বাক্সে কিছু ঢালছেন যা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ড্রাইভার স্থানীয় থানায় খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে এম-৬ হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ-দমকল-বম্ব স্কোয়াডের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সেনা অফিসাররাও। রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভাব্য হামলার কথা ভেবে আনা হয় বিশেষজ্ঞদের। বাসের সব যাত্রীকে রাস্তায় বসিয়ে রেখে প্রায় ঘণ্টাপাঁচেক ধরে তল্লাশি চালানোর পর অবশ্য সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। পরে স্থানীয় স্ট্যাফোর্ডশায়ার থানার পুলিশও জানায়, বাসে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। বাসটি সন্ত্রাসবাদী হামলার উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছিল এমন কোনও সূত্রও পাননি গোয়েন্দারা।
|
জোড়া ত্রুটিতেই এয়ার ফ্রান্স দুর্ঘটনা |
পাইলটদের ভুল আর যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই ২০০৯ সালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় পড়েছিল এয়ার ফ্রান্সের বিমান। তিন বছর ধরে তদন্তের পরে রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছেন ফরাসি তদন্তকারীরা। ২০০৯ সালের ১ জুন ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে প্যারিস যাওয়ার পথে অতলান্তিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ফ্রান্সের উড়ান এফ-৪৪৭। মারা যান বিমানের ১২৬ জন যাত্রী ও ১২ জন বিমানকর্মী। ওই বিমানসংস্থার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। ফলে, বিমানের অবস্থান সম্পর্কে ভুল ধারণা হয়েছিল পাইলটদের। যে পরিস্থিতিতে বিমানের মুখ নিচু করার কথা সেখানে মুখ উঁচু করেছিলেন তাঁরা। পাইলটদের প্রশিক্ষণেরও অভাব ছিল। প্রযুক্তিগত ত্রুটি এড়ানো এবং পাইলটদের আরও ভাল প্রশিক্ষণের সুপারিশ করেছেন তদন্তকারীরা।
|
ফুকুশিমা-বিপর্যয় মানুষের ‘তৈরি’ |
ফুকুশিমা-বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মানুষের গাফিলতিও। আজ এই দাবি করেছে এক নতুন রিপোর্ট। সুনামির পরে ফুকুশিমা-দাইচি পরমাণু চুল্লিতে বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে একাধিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তৃতীয় তদন্ত কমিশন আজ তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, সরকার, চুল্লির পর্যবেক্ষক এবং টোকিও বিদ্যুৎ সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। এমনকী, সুনামি না হলেও পরমাণু চুল্লিতে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে দাবি তাদের।
|
ভারতীয় হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন অষ্ট্রেলীয়র |
এক ভারতীয় প্রেমিকা ও তার দুই নাবালক ভাইবোনকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক অষ্ট্রেলীয়র। ঘাতক ৪২ বছর বয়সী মাসিমো সিকা। ২০০৩ সালের ২২ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছিল। এ দিন প্রেমিকা নীলিমা সিংহকে বারবার ফোন করছিল মাসিমো। ফোন তাকেঐ না পেয়ে মাসিমো বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ২৪ বছরের নীলিমাকে গলা টিপে হত্যা করে। সে সময় বাড়িতে নীলিমার মা ও বাবা ছিলেন না। নীলিমার ১৮ বছরের ভাই কুনাল ও ১২ বছরের বোন সিধি ছিল। তারা ঘটনাটি দেখে ফেলায় মাসিমো তাদেরও হত্যা করে। কুইন্সল্যান্ডের ইতিহাসে মাসিমোই প্রথম যাকে দীর্ঘ ৩৫ বছরের কারাবাস দিল সুপ্রিম কোর্ট। |