উন্নয়নের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ ব্লকের মথুরাপুর পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল প্রধান জগাই চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বুধবার তদন্ত শরু করেছেন বিডিও। এ দিন বিডিও পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে চারটি আলমারি সিল করে দেন। বিডিও দীপ্তার্ক বসু বলেন, “এর আগেও এই তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। এ বারও বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে ৯-১০ লক্ষ টাকা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া প্রধানও আমার কাছে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তদন্ত দোষ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
সিল করে দেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েত অফিসের আলমারি। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, অনুন্নত শ্রেণির উন্নয়ন প্রকল্প এবং উপ স্বাস্থাকেন্দ্র নির্মাণ প্রল্পের টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলের থাকে। কিন্তু গত ২৮ জুন বিডিও-র নজরে আসে তহবিলে কোনও টাকাই নেই। এর পর বিডিও এ দিন পঞ্চায়েত দফতরে হাজির থাকার জন্য প্রধানকে চিঠি পাঠান। কিন্তু এ দিন প্রধান উপস্থিত হননি। ছিলেন না পঞ্চায়েতের সেক্রেটারিও। এই অবস্থায় বিডিও ব্যাঙ্কের সঙ্গে সম্সত লেনদেন বন্ধ কের দেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় চেকবুক, পাসবুক, ক্যাশবুক। সিল করে করে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত দফতরের সমস্ত আলমারি। আগামী ১০ জুলাই ফের পঞ্চায়েত প্রধান ও সেক্রেটারিকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই কদিন পঞ্চায়েতের অন্যান্য কাজ হলেও উন্নয়নের কাজ বন্ধ থাকবে বলে বিডিও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই দিন ওঁরা না এলে আলমারি ভেঙে সমস্ত কাগজপত্র বের করে তদন্ত করা হবে।” তবে যাঁর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের অর্থ তছরূপের অভিযোগ উঠেছে সেই জগাই চক্রবর্তীর সঙ্গে কোনওরকম ভাবেই যোগাযোগ করতে পারা যায়নি।
দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মথুরাপুর ১ ব্লকের সভাপতি অমিয় গায়েন বলেন, “প্রধান যদি টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন তবে আইনানুযায়ীই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনওভাবেই দল তাঁকে সমর্থন জানাবে না।” |