মোস্তাফা আত্মঘাতীই, রিপোর্ট বিধানসভায়
ত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (উত্তর) কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক মোস্তাফা বিন কাশেম আত্মহত্যাই করেছেন। ফলে ওই মৃত্যুর ঘটনায় খুন বা দুর্ঘটনার প্রশ্ন তুলে কারও বিরুদ্ধে মামলা করার প্রয়োজন নেই। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি ডিপি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ওই কমিশন তৈরি হয়েছিল। তার রিপোর্ট বুধবার বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে।
কমিশন বলেছে, ময়না-তদন্ত, ভিসেরা এবং ‘হিস্টো প্যাথলজিক্যাল’ রিপোর্টে ওই মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক কারণে মোস্তাফা আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রমাণ মিলেছে তাঁর লিখে যাওয়া চারটি ‘সুইসাইড নোট’-এ। যদিও চারটির মধ্যে একটিতে চার জন রাজনৈতিক নেতার নামের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিধায়কের আত্মহত্যার জন্য ওই নেতাদের অভিযুক্ত করা যায় না। ওই নেতারা আত্মহত্যার জন্য মোস্তাফাকে প্ররোচিত করেছিলেন বলেও অভিযোগ করা যাবে না।
এ দিন বিধানসভায় রিপোর্টটি পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, “রিপোর্টটি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” গত বছরের ২৯ মে কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের একতলার বারান্দায় মোস্তফার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যান এবং অন্ত্যেষ্টির ব্যবস্থা করেন। মৃত্যুর কারণ যাচাইয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন তিনি।এ দিন বসিরহাটের নেহালপুরে প্রয়াত বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাইরের গেটে তালা। ডাকাডাকিতে বেরিয়ে এসে কাশেমের খুড়তুতো ভাই মহম্মদ আফেক বলেন, “কিছু বলার নেই। বৌদি (মোস্তাফার স্ত্রী নুরে জাহাঁ মোস্তাফা)-ও কিছু বলতে রাজি নন।” মোস্তাফার আর এক ভাই ফারুক বিন কাশেম ফোনে বলেন, “আমাদের মনে হয়েছিল, ওঁকে খুন করা হয়েছে। আর কিছু বলার নেই।” তবে মোদ্দাকায় হোসেন নামে প্রয়াত বিধায়কের এক পড়শির দাবি, “উনি কেন আত্মহত্যা করলেন, এ বার তা খতিয়ে দেখা হোক।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.