|
|
|
|
এক্স-রে ক্লিনিকে শ্লীলতাহানি, ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ক্লিনিকের মধ্যেই এক্স-রে করাতে আসা এক তরুণীর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।”
শহরের স্টেশন রোড এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোম চত্বরে রয়েছে এই এক্স-রে ক্লিনিক। সেখানে টেকনিশিয়ানের কাজ করেন জগন্নাথ মিস্ত্রি। অভিযোগ, এ দিন এক্স-রে করাতে আসা বছর একুশের এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন জগন্নাথ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তমলুকেরই একটি গ্রাম থেকে মায়ের সঙ্গে ওই ক্লিনিকে এসেছিলেন তরুণীটি। তাঁর তলপেটের এক্স-রে করতে বলেছিলেন চিকিৎসক। নির্দিষ্ট ঘরে ওই তরুণী ঢোকার খানিকক্ষণ পরে চিৎকার শোনা যায়। ঘরের বাইরেই ছিলেন মেয়েটির মা। ওই তরুণী বেরিয়ে এসে সব বলেন। পরে তমলুক থানায় জগন্নাথের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জগন্নাথকে গ্রেফতার করে। সরকারি নিয়মানুযায়ী, কোনও মহিলার এক্স-রে করার সময় একজন সিস্টার থাকার কথা। তা সম্ভব না হলে পরিবারের কোনও মহিলা সদস্যকে সেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। কেন? ওই নার্সিংহোমের মালিক শ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় (জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী) বলেন, “আমাদের মহিলা কর্মী আছেন। ঘটনাচক্রে ওই সময় এক্স-রে রুমে তাঁদের কেউ ছিলেন না। আমরাও অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।” এ দিকে, দোষীদের গ্রেফতার ও এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না-ঘটে তার দাবিতে এ দিন সন্ধ্যায় তমলুক থানায় স্মারকলিপি দেয় এসইউসি-র মহিলা শাখা। |
|
|
|
|
|