ছাত্রকে মারধর, অভিযুক্ত শিক্ষক
ছাত্রকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শালবনি হাইস্কুলে। অসুস্থ ছাত্রকে প্রথমে শালবনি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মাথায় মারের অভিযোগ থাকায় স্ক্যান করা হয়েছিল। কোনও খারাপ রিপোর্ট মেলেনি। ছাত্রটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ প্রকাশ মাহাতো বলেন, “বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটে গিয়েছে। ছাত্রটিকে জোরে মারা হয়েছিল এমন নয়। কোনও কারণে ছাত্রটি ভয় পেয়ে গিয়েছিল। অসুস্থ বোধ করায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
নিজস্ব চিত্র।
অসুস্থ ছাত্রের নাম শ্রীকান্ত মাহাতো। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রটি অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও স্কুলে গিয়েছিল। প্রথম পিরিয়ডে ছিল অঙ্কের ক্লাস। অঙ্কের ক্লাসেই শিক্ষক লাঠি দিয়ে কয়েক জন ছাত্রকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। অন্যান্য ছাত্রের গায়ে লাগলেও শ্রীকান্তের মাথায় লাঠির আঘাত লাগে। কিন্তু সেই সময় ছাত্রটি অসুস্থ হয়নি। দ্বিতীয় ক্লাস শুরুর মিনিট দশেক পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ক্লাসের শিক্ষক অসুস্থ ছাত্রটিকে টিচার-ইন-চার্জের কাছে পাঠান। তিনি ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। অসুস্থ ছাত্রের অভিযোগ, “আমি ক্লাসে কোনও অন্যায় করিনি। সেই সময় ব্যাগ থেকে খাতা বের করছিলাম। হঠাৎ মাস্টারমশাই অন্যদের মারতে মারতে আমার কাছে আসেন। আমাকেও সজোরে মাথায় আঘাত করেন।” শ্রীকান্তের মা ব্রজবালাদেবী বলেন, “আমি বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ স্কুল থেকে টেলিফোনে জানানো হয় যে, ছেলে অসুস্থ হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গিয়েই জানতে পারি, শিক্ষকের মারে ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।” টিচার-ইন-চার্জের অবশ্য দাবি, “ছাত্রের ক্ষতি করার জন্য কোনও শিক্ষক মারধর করেন না। দুষ্টুমি বন্ধ করতে, ভয় দেখানোর জন্যই হয়তো সামান্য মারা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.