গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকে ডাকাতি করে পালাল ছয় দুষ্কৃতী। বুধবার সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালি থানার ভান্ডারহাটির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় চৌধুরী। তিনি নিজেও এসেছিলেন তদন্তে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ব্যাঙ্কে খোলার পরে তখন জনা কুড়ি পেনশনভোগী গ্রাহক ছিলেন। দু’টি মোটর বাইকে চেপে ছ’জন যুবক ঢোকে ব্যাঙ্কে। গ্রাহক পরিচয়ে ব্যাঙ্কের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে কিছু ক্ষণ। এরপরেই স্বমূর্তি ধারণ করে দুষ্কৃতীরা। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ‘হুমকি’ দেয় ব্যাঙ্কের কর্মী, গ্রাহকদের। বলে, চিৎকার-চেঁচামিচি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে। কর্মী ও গ্রাহকদের ঘরের মেঝেতে বসিয়ে রাখে। সেখানে এক জন ছিল পাহারায়। |
ব্যাঙ্কের মূল গেটও ভিতর থেকে বন্ধ করে বাইরে দাঁড়ায় এক জন। বাকি চার জন ম্যানেজারের কাছে গিয়ে ভল্টের চাবি চায়। উঁচিয়ে ধরা আগ্নেয়াস্ত্রের সামনে প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি ম্যানেজার। তাঁর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ম্যানেজারকেও মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয়। এরপরে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলে দুষ্কৃতীরা। ভল্ট খুললেও সেখান থেকে কত টাকা তারা নিয়েছে, সেই পরিসংখ্যান দিতে পারেননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ‘নির্বিঘ্নে’ টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে আরও কিছু গ্রাহক হাজির হন ব্যাঙ্কে। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পেরে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। খবর পৌঁছয় থানাতেও। পুলিশ এসে আটকে থাকা ব্যাঙ্ককর্মী, গ্রাহকদের উদ্ধার করে। ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার তারাপদ বসু বলেন, “মাসের প্রথম দিকে সাধারণত পেনশনভোগীদের ভিড় বেশি থাকে। মূলত তাঁদের জন্য রাখা টাকাটাই নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” |