ছত্তীসগঢ়ে গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় সাত নিরীহ কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল রাজ্য কংগ্রেস। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বি কে হরিপ্রসাদ জানিয়েছেন, ঘটনার পরে গঠিত প্রদেশ কংগ্রেসের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি তার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যা চিদম্বরমের মন্ত্রকের পক্ষে অস্বস্তিকর। প্রদেশ সভাপতির দাবি, ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সিআরপি আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা একেবারেই ‘ভুয়ো’। ওই ঘটনায় ১৫ বছরের কম বয়সী অন্তত সাত নিরীহ কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, যাদের পরিচয়ও জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের রিপোর্টে যেখানে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।
অন্য দিকে, ওই ঘটনায় কোনও নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু হয়ে থাকলে তিনি ‘অত্যন্ত দুঃখিত’ বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ওই ঘটনায় সিআরপিএফের ভূমিকা ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা উড়িয়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওই ঘটনা নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লুকনোর কিছু নেই। বিজাপুরের গ্রামে সংঘর্ষের সময় নিরীহ কারও মৃত্যু হয়ে থাকলে তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যজনক।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, সিআরপিএফ তাঁর কাছে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে, সিআরপি বাহিনী আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালিয়েছিল এবং তাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে বছর পনেরোর এক কিশোরও রয়েছে। চিদম্বরম এ দিন আরও জানান, ২৯ জুনের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত চার-পাঁচ জনের নামে অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, গুলি চালনার ঘটনায় রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আমজনতার মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার ফায়দা তুলতেই কোমরবেঁধে মাঠে নেমেছে রাজ্য কংগ্রেস। পাশাপাশি, ওই রিপোর্ট যাতে চিদম্বরমের পক্ষে আরও অস্বস্তিকর হয়ে না দাঁড়ায় সে বিষয়েও এ দিন সাফাই দিয়েছেন হরিপ্রসাদ। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘ভ্রান্ত’ তথ্যের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই ঘটনায় সিআরপিএফের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। |