রাস্তা মেরামতির দাবিতে অবরোধ
তুন সেতু তৈরির পরে বক্রেশ্বর-দুবরাজপুর রাস্তায় থাকা শতাব্দী প্রাচীন রেল সেতুটি ভেঙে দিয়েছিল রেল। কিন্তু প্রায় দু’বছর হতে চলল। কিন্তু সেই সেতু সংযোগকারী রাস্তটি অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। প্রতিবাদে বুধবার দুবরাজপুর পুরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ফকির বাউড়ির নেতৃত্বে ওই রেল সেতু অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। কংগ্রেসের ক্ষোভ, একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপরে থাকা এই সেতু সংযোগকারী রাস্তাটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কাজ শেষ করে দায়িত্ব পালন করুক রেল।
ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডবল লাইন বসানো ও বৈদ্যুতিকরণের কাজের সুবিধার জন্য পূর্ব রেলের অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার মধ্যে থাকা দুবরাজপুর স্টেশনের কাছাকাছি থাকা রেল সেতুটি ভাঙতে হয়েছিল। পরিবর্তে তৈরি হয়েছিল নতুন উঁচু সেতু। তার পরেই সংযোগকারী রাস্তাটির কাজে হাত দেয় ওই কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত রেলের ঠিকাদার। কিন্তু বোল্ডার পড়ার পর স্থানীয় বাধায় আচমকা কাজ বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। সেই কাজ এখনও একই অবস্থায় পড়ে আছে। পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে পুরো দায় রেলের উপর চাপিয়ে বলেন, “সেতুটি দুবরাজপুর শহরের ভেতরে ও বক্রেশ্বর-দুবরাজপুর রাস্তায় রয়েছে। এ ভাবে কাজ করা বন্ধ করার পর বহুবার রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এমনকী তৃণমূল সংসদ শতাব্দী রায়ের মাধ্যমেও আসানসোল ডিভিসনের ডিআরএমেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কাজ না হওয়ায় পূর্ত দফতরের (সড়ক) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার জন্য উনি রাজি হয়েছেন।” রেল সূত্রে খবর, সেতুটি পাকা করার জন্য আগেই পুরসভা ও পূর্ত দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পুরসভা ও পূর্ত দফতরের করে দেওয়া নকশা দেখেই রাস্তার কাজে হাত দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তার পাশে থাকা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ঢোকার পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে যাচ্ছে দেখে আপত্তি উঠেছিল। এর পরেই রেলের তরফে বিষয়টি পুরসভা ও পূর্ত দফতরে জানানো হলেও কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কাজ থমকে যায় বলে দাবি রেলের। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিসনের ডিআরএম জগদানন্দ ঝা বলেন, “আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে কোনও বাধা নেই। সেই সময় ঠিক কী কারণে ওই রাস্তাটি সম্পূর্ণ করা যায়নি বলতে পারছি না। ওই কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারের গাফিলতি আছে কি না তা দেখব।” অন্য দিকে, পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র জাহ্নবী কোনার বলেন, “বক্রেশ্বর থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। দুবরাজপুর শহরে যখন কাজ চলবে তখন ওই সেতু সংযোগকারী রাস্তাটি পিচ করে দেওয়া হবে। তবে রেলের তৈরি সেতু সংযোগকারী রাস্তা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অবশ্যই রেলের।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.