রামপুরহাট হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপারকে স্মারকলিপি দিল যুব কংগ্রেসের রামপুরহাট বিধানসভা কমিটি। মঙ্গলবার তাঁরা অভিযোগ করেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স থেকে চতুর্থশ্রেণির কর্মীর অভাব রয়েছে। এ সব সমস্যা না মিটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হল বলে ঘোষণা করেছেন।
ওই কমিটির সভাপতি ওয়াসিম আলি ভিক্টর বলেন, “২০১১ সালে স্বাস্থ্য দফতর নিদের্শ দেয়, জরুরি বিভাগে দু’জন করে চিকিৎসক রাখার কথা। অথচ এখানে তা নেই। হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ১২ জনের বদলে ৬ জন রয়েছেন। তাই তাঁদের মধ্যে থেকে দু’জন করে চিকিৎসককে জরুরি বিভাগে দেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি আরও জানান, হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৩৭ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ছুটি নিলে তখন পরিষেবা দিতে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়।
যুব কংগ্রেস কর্মীদের ক্ষোভ, স্ত্রীরোগ বিভাগের ছোটখাটো অস্ত্রোপচার প্রায় বন্ধ রয়েছে। অবিলম্বে তা চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। সুপার বলেন, “এখন এক জন মাত্র স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে তিন জন জেনারেল মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন। সিজার করে সন্তান প্রসব করানোর চাপ থাকায় ওই ধরনের অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না।” তিনি জানান, সমস্যাগুলির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। |