টুকরো খবর |
বালিকার পেটে মিলল যমজ ভ্রূণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জন্ম থেকেই শিশুটির পেটে রয়ে গিয়েছিল তার যমজের ভ্রূণ। ওজন দাঁড়িয়েছিল প্রায় দু’কিলোয়। বর্ধমান শহরে এক নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হল। ঝাড়খণ্ডের চাতরা জেলার দ্বারিয়াতু গ্রাম থেকে আনা হয়েছিল বছর ছয়েকের মেয়েটিকে। নাম সঙ্গমকুমারী ডাঙ্গি। জন্মের পর থেকেই তার পেটে যন্ত্রণা হত। বমি হত, পেট ফুলে যেত। তার বাবা শশীভূষণ ডাঙ্গি বলেন, “চাতরা জেলা হাসপাতাল, রাঁচি ইত্যাদি জায়গায় ঘুরেও যন্ত্রণা সারেনি। শেষে দিল্লির এক নার্সিংহোম জানায়, ওর পেটে টিউমার হয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। এর পরেই আমার এক ভাই বর্ধমানের এক শিশু শল্যচিকিৎসকের খবর দেয়। তিনিও দেখে বলেন, অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় ঘণ্টা দেড়েকের অস্ত্রোপচারে সঙ্গমকুমারীর পেট থেকে ওলের মতো দেখতে ভ্রূণটি বের করেন। নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই যমজ ভ্রূণটি গর্ভাবস্থায় বাড়তে পারেনি। উল্টে অপর ভ্রূণের মধ্যে ঢুকে যায় বলে চিকিৎসকদের ধারণা। সেটি যে সাধারণ টিউমার নয়, তা আলট্রাসনোগ্রাফির পরেই সন্দেহ করা হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করে দেওয়ার পরে সঙ্গমকুমারী আপাতত সুস্থই আছে।
|
হাসপাতালে ফ্যানে আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দোতলায় বহির্বিভাগের করিডরে একটি সিলিং ফ্যানে আগুন ধরে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। হাসপাতালের পূর্ত দফতরের কর্মীরা ‘মেন সুইচ’ বন্ধ করে দেওয়ায় বড় বিপদ ঘটেনি। সুপার প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘শট সার্কিট থেকে সিলিং ফ্যানের যন্ত্রাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি জনিয়েছেন। দমকলের ইঞ্জিনও পৌঁছে গিয়েছিল। বড় ধরনের কিছু ঘটেনি।” ঘটনায় হাসপাতালে রোগী, স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ালেও সুপার নিজে একবারও ঘটনাস্থলে যাননি বলে একাংশ অভিযোগ তুলেছেন। সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি অফিসেই ছিলেন। ওয়ার্ড মাস্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন। আগুনের খবর পেয়ে রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা ভবন থেকে হুটোপুটি করে নামতে থাকেন। স্বাস্থ্য কর্মীরা তিনতলায় মেডিসিন বিভাগের রোগীদের নিচে আনেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে কোনও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মোকাবিলার জন্য জলাধারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সমস্যার কথা স্বীকার করে প্রদীপবাবু বলেন, “এ বিষয়ে দমকলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারা দেখে গিয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট দেয়নি।”
|
বিস্ফোরণে অন্তর্ঘাতের ছায়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ন্যাশনাল মেডিক্যালের বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের ছায়াই দেখলেন তদন্তকারীরা। সোমবার তদন্তকমিটির রিপোর্টে সাক্ষীদের বয়ানে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাই ফুটে উঠেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। স্বাস্থ্য দফতরকে তদন্তকারীরা জানান, যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানকার দরজায় তালা দেওয়া থাকে। বাইরের কেউ ঢুকতে পারে না। যে জঞ্জালের স্তূপে বিস্ফোরক ছিল, সেখানে জঞ্জালও অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখার জন্যই বেশি জঞ্জাল রাখা হয়েছিল বলে সন্দেহ। এ ক্ষেত্রে বোমাই ফেটেছে বলে সাক্ষীরা তাঁদের বয়ানে জানিয়েছেন। কমিটির চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় দত্ত বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছি। বিস্ফোরণের চরিত্র বুঝতে ফরেন্সিক রিপোর্টও জরুরি।” বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে ২০ ফুট দূরের জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। আহত তিন জনই আংশিক ভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
|
বিধানসভায় সরব শঙ্কর
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাল ফেরানোর জন্য বিধানসভায় সরব হলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় স্বাস্থ্য বাজেটের বিতর্কে যোগ দিতে গিয়ে শঙ্করবাবু জানান, উত্তরবঙ্গের প্রায় দেড় কোটি মানুষ ওই হাসপাতালে উপরে নির্ভরশীল। অথচ সেখানকার পরিকাঠামো মান্ধাতার আমলে পড়ে রয়েছে। তিনি যে সমস্যাগুলির কথা তুলেছেন তা এরকম: শয্যা সংখ্যা ৫৯৯ হলেও গড়ে রোজ ১ হাজার রোগী-রোগিণী ভর্তি থাকেন। এখনও হাসপাতালে নিউরো সার্জন, কার্ডিও থেরাসিক সার্জন সহ অনেক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়নি। চিকিৎসকদের শূন্যপদ রয়েছে ৬৬টি, ডেপুটি নার্সিং সুপারের পদ ফাঁকা রয়েছে ১১টি, সিস্টার ইন চার্জের ৩৫টি এবং ১৬৯ জন স্টাফ নার্সের পদ ফাঁকা। তাঁর আর্জি, “আশা করব দ্রুত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে আরও আধুনিক করা হবে।”
|
সেরা জেলা ও নার্সিংহোম
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা’র ‘স্মার্টকার্ড’ বিলিতে রাজ্যের অন্য জেলাগুলিকে পিছনে ফেলে শীর্ষে পৌঁছল বাঁকুড়া। সব থেকে বেশি পরিষেবা দিয়েছে বাঁকুড়া শহরের লিটল হার্ট নার্সিংহোম। রাজ্য সরকার এ জন্য সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন এবং ওই নার্সিংহোমকে পুরস্কৃতও করেছে। সোমবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, “লিটল হার্ট রাজ্যের অন্যান্য নার্সিংহোমগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিষেবা দিয়েছে।” নার্সিংহোমের এমডি সুজিতকুমার দত্ত বলেন, “মানুষকে ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা গর্বিত।” জেলাশাসক বলেন, “শ্রম দফতর জানিয়েছে, গত এক বছরে এই জেলায় ৮৪ শতাংশ বিপিএল তালিকাভুক্তদের ওই প্রকল্পে আনা গিয়েছে।”
|
অস্ত্রোপচারের পরে মহিলার মৃত্যু, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের পরে এক মহিলার মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ দেখা দিল মেদিনীপুরে। সোমবার রাতে শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার হয় মধুমিতা ঘোষের। তাঁর পরিবারের দাবি, অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারের পরে দীর্ঘক্ষণ জ্ঞান ফেরেনি মধুমিতার। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মধুমিতার স্বামী রূপকের অভিযোগ, “রাতেই নার্সিংহোম থেকে স্ত্রীর দেহ বের করে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সকালে এক রকম জোর করেই দেহ বের করে দেওয়া হয়।” মৃতার পরিজনেরা কেরানিতলা এলাকায় ওই নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতার আত্মীয়েরা কোতোয়ালি থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রূপকবাবুদের বাড়ি শালবনির বরাগাদা গ্রামে।
|
পরিষেবার দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও জেলার একাধিক হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ চালু হয়নি বলে অভিযোগ উঠল বিধানসভায়। মঙ্গলবার বিধানসভার উল্লেখ পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে আইসিইউ এবং সিসিইউ চালু করার প্রস্তাব দেন। অন্য দিকে, রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে আইসিইউ চালু হয়নি বলেও এ দিন উল্লেখ পর্বে জানানো হয়।
|
সাংসদের অ্যাম্বুল্যান্স |
সরকারি টাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স পেল জামুড়িয়ার মাড়োয়ারি যুব মঞ্চ। সোমবার তৃণমূল সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সটি ওই মঞ্চকে দেন। |
|