কেমোথেরাপি বিভাগ চালু হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার হাসপাতালের নতুন ভবনে বিভাগটির উদ্বোধন করেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল। তিনি বলেন, “আগে কেমোথেরাপির জন্য কলকাতায় রোগীদের পাঠাতে হত। এ বার থেকে আর তা করতে হবে না।” তবে এখনও মেডিক্যালে রেডিওথেরাপি বিভাগ পুরোপুরি চালু হয়নি। শুধু বহির্বিভাগটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, “দ্রুত ওই বিভাগটিও চালু করার চেষ্টা চলছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” আপাতত, প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কেমোথেরাপির সুবিধে পাবেন রোগীরা। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওষুধপত্রের খরচ রোগীকে বহন করতে হবে। বাকি সব কিছু সুবিধে হাসপাতাল থেকে মিলবে। |
মেদিনীপুর মেডিক্যালের নতুন ভবনের তিন তলায় দু’টি ঘর নির্দিষ্ট করা হয়েছে কেমোথেরাপি বিভাগের জন্য। সব মিলিয়ে ৪টি শয্যা রয়েছে। অর্থাৎ, দিনে ৮ জন রোগী এখানে কেমোথেরাপির সুবিধে নিতে পারেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই বিভাগটি খোলা হলেও প্রয়োজনে দিন সংখ্যা বাড়ানো হবে। অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান অসিতরঞ্জন দেব বলেন, “অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চলছিল। শেষমেশ বিভাগটি চালু করা সম্ভব হল। প্রয়োজনে সপ্তাহে একদিনের বদলে দু’-তিন দিন বিভাগটি খোলা রাখা যেতে পারে।” তবে এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সমস্যা না হলেও নার্স ও কর্মীর সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
মেডিক্যালে কেমোথেরাপি বিভাগ চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে এই বিভাগ থাকারই কথা। পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য মেদিনীপুরে এতদিন তা চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ক্যানসারের মূলত তিন রকম চিকিৎসা হয়। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও সার্জিক্যাল। রেডিওথেরাপির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চলে এসেছে। ঘরও নির্দিষ্ট হয়েছে। কিন্তু এখনই তা চালু করা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, রেডিওথেরাপি বিভাগ চালু করার সব রকম চেষ্টা চলছে। তবে কয়েক মাস আগে নতুন ভবনের একতলার একটি ঘরে রেডিওথেরাপির বহির্বিভাগ খোলা হয়েছে। |