|
একজোট হোক
জলপাইগুড়ি |
|
জুবিলি পার্ক, দিনবাজারের রাস্তা দখল হয়ে যাওয়া, লাবণ্য মাতৃসদনের হাল ফেরানো বা জলপাইগুড়ি নিয়ে আলাদা
উন্নয়ন পর্ষদের দাবি কেন উঠছে, তা নিয়ে আনন্দবাজারের পাঠক ও জলপাইগুড়ির পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
পিনাকী সেনগুপ্ত’র সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা হল ‘আপনার মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে। ২২ জুন পুরসভার হলে
আয়োজিত অনুষ্ঠানের বাছাই অংশের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল। সঞ্চালনায় ছিলেন কিশোর সাহা। |
|
জলপাইগুড়ি শহরের কেরানিপাড়ায় লাবণ্য মাতৃসদনের পরিষেবা কি বাড়ানো যায় না? রাষ্ট্রীয় বিমা পরিষেবা বা পিপিপি মডেলেও হাসপাতালটি চালানোর বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। রাহুল ভৌমিক, চিকিৎসক
আইপিপি ৮ প্রকল্পে প্রথম ছয় বছর অর্থ পেয়েছি। পরে সেই সাহায্য বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে লাবণ্য মাতৃসদনে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই মডেলে পরিষেবা কী ভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছি। |
|
শহরের তিস্তা পাড়ের জুবিলি পার্ক অবহেলায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র পুরসভা তৈরি করতে পারে না? তিস্তা পাড়ের এক নম্বর স্পারে সন্ধের পরে সমাজ বিরোধী কাজকর্ম রোখা দরকার।
প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যাঙ্কের আধিকারিক
জুবিলি পার্ক নিয়ে একাধিক প্রস্তাব নানা সময়ে আগের সেচমন্ত্রীদের দেওয়া হয়। কিন্তু ‘হচ্ছে-হবে’ গোছের মনোভাবে কাজ হয়নি। পুরসভা ফের উদ্যোগী। পরিস্থিতি খুব একটা পাল্টায়নি বলে মনে হচ্ছে। তবু হাল ছাড়তে রাজি নই। তিস্তা বাধের এক নম্বর স্পার এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানাব। |
|
শহরের সর্বত্র মশার সমস্যা রয়েছে। পুরসভাকে দেখতাম আগে উদ্যোগী হত। এখন কী হচ্ছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন, পান্ডাপাড়া এলাকায় নর্দমা কাজ শুরু হলেও কিছু এলাকায় কাজ অর্ধসমাপ্ত রয়েছে। কবে তা হবে?
দীপক দেব, গৃহশিক্ষক
মশা কিন্তু আমাকেও ছাড়ে না। কাজেই সমস্যাটা ভালই বুঝি। ডিডিটি ছড়ানো এখন শহর এলাকায় নিষিদ্ধ। মশা মারতে আগে যে ধোঁয়া দেওয়া হতো, সেটিও নিষিদ্ধ। ফলে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। নাগরিকদের নিজেদের বাসস্থান ও লাগোয়া এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, জল জমতে না-দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। পান্ডাপাড়ার নর্দমার কাজ ডিসেম্বরে আশা করছি শেষ হয়ে য়াবে। বর্ষার সময় যাতে বাসিন্দাদের সমস্যা না হয় তা পুরসভা দেখবে। |
|
|
ছবি তুলেছেন সন্দীপ পাল। |
করলা নদীর পাড়ে জেওয়াইএমএ ক্লাবের পাশে চিলড্রেন্স পার্ক ছিল। সেই পার্কটি জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে. পুরসভা যদি ব্যবস্থা নেয় ভাল হবে।
প্রবীর তলাপাত্র, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী
এই পার্কটিও পুরসভা নিজের হাতে নিতে চেয়েছিল। পুরসভা পায়নি। দায়িত্ব পেলে পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে দেওয়া যাবে। |
|
রায়কতপাড়ায় শিশু শ্রমিকদের স্কুল রয়েছে। সেখানে জঞ্জাল জমে থাকে। দুর্গন্ধে স্কুলে থাকা দায়।
গৌতম ঘোষ, পরিবেশকর্মী
স্কুলের সামনে জঞ্জাল ফেলা কখনও ঠিক নয়। যদি এমন হয়ে থাকে, পুরসভার পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
শহরে সব পুকুর ভরাট হয়ে আবাসন তৈরি হচ্ছে। পুরসভা কী ভাবছে?
পৃথা ভট্টাচার্য, ছাত্রী
এমন বেআইনি কাজ হচ্ছে জানলে পুরসভা ব্যবস্থা নেয়। আপনাদের অনুরোধ, কোথাও এমন হচ্ছে জানলে নাম-ধাম গোপন রেখে অভিযোগ জানান। টেলিফোনে জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
এক নম্বর ওয়ার্ডে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে। এখনও ‘কমপ্লেক্স’ ব্যবহার হচ্ছে না। রাস্তায় বাজার বসছে, দূষণ ছড়াচ্ছে।
সুব্রত মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবী
এসজেডিএ মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে পুরসভাকে হস্তান্তর করলেও দোকানঘর কারা পেলেন, তার ভাড়াই বা কত, এ সব বিষয়ে তথ্য দেয়নি। এসজেডিএ সেই তথ্য দিলে বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। |
|
শহরের স্টেশন বাজার লাগোয়া হরিজন বস্তির পরিবেশ পরিষ্কার করার জন্য পুরসভা শৌচালয় তৈরি করে দিয়েছে। সেগুলি ব্যবহার না করে শুয়োর খোঁয়াড় তৈরি হয়েছে।
বেদদ্যুতি চক্রবর্ত্তী, ছাত্র
পুরসভার কর্মীরা শুয়োর পালন করলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকার মানুষদের সচেতন করার প্রয়াস শুরু করা হয়েছে। এলাকায় আবাসন, স্কুলও তৈরি হয়েছে। পরিবেশ পুরোপুরি বদলে যাবে। |
|
শহরের রিকশার নানা সমস্যা কবে মিটবে? ভাড়ার ঠিক নেই। উল্টে দুর্ব্যবহার জুটছে। সন্ধ্যার পরে শহরে রিকশা পাওয়াই মুশকিল।
পলাশতরু মিত্র, বিমা আধিকারিক
আমি নিজেও রিকশায় যাতায়াত করে থাকি। আমাকে এই সমস্যা পোহাতে হয়। পুরসভার সবুজ বাহিনী রিকশা চালকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে আমাদের টেলিফোনে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
শহরের ঐতিহ্য রবীন্দ্রভবন জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। বর্ষাকালে প্রেক্ষাগৃহের ভেতরে জল ঢুকে যায়। পুরসভা কিছু করতে পারে না?
সমর চৌধুরী, নাট্যকর্মী
রবীন্দ্রভবনের জীর্ণ দশা কেন, এই প্রশ্নটা আমাদেরও। শহরবাসীরা একজোট হয়ে ‘ফোরাম’ গড়ে রবীন্দ্র ভবনের হাল ফেরাতে রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের কাছে দাবি জানান। নিশ্চয় কাজ হবে। পুরসভা ওই ফোরামকে সব সহযোগিতা করবে। |
|
(চলবে)
|
|