আর্থিক শৃঙ্খলা না মেনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর গত আর্থিক বছরে পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে অভিযোগ করল সিপিএম প্রভাবিত সরকারি কর্মীদের সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। যদিও সরকারের বক্তব্য, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মঙ্গলবার মহাকরণে কো-অর্ডিনেশনের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “নির্দিষ্ট টেন্ডার, বিল, ভাউচার এবং তারিখ ছাড়াই ৪৭৭৭টি ক্ষেত্রে সরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। এই টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, তার হিসেব নেই।” এটা যে তাঁর বক্তব্য নয়, তা জানিয়ে অনন্তবাবু রাজ্যের অডিটর জেনারেলের (এজি) অফিসের পাঠানো চিঠির কথা বলেন। তাঁর দাবি, “১৬ এপ্রিল এজি-র অফিস থেকে সরকারের কাছে পাঠানো চিঠিতেই (মেমো নম্বর ভিএলসি/টিআরআইসিওএম/১২/১৫) এই তথ্য উঠে এসেছে।” চিঠিতে নির্দিষ্ট করে কয়েকটি দফতরের নামও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজ্যের অর্থ দফতর জানিয়েছে, আর্থিক শৃঙ্খলা না মেনে অর্থ খরচের ওই অভিযোগ ঠিক নয়। তাদের বক্তব্য, আসলে ওই অর্থ খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) এজি-র অফিসে জমা পড়েনি। এজি-র চিঠিতে তা বলা হয়েছে। অর্থ দফতরের এক কর্তার কথায়, “প্রতি আর্থিক বছরেই সরকারের বিভিন্ন দফতরের খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে দেরি হয়। তার মানে এই নয় যে খরচ আর্থিক শৃঙ্খলা মেনে হয়নি।” তাঁর দাবি, “এজি-র চিঠিতেই জানানো হয়েছে, বাম আমলে ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে ১৯ হাজার ক্ষেত্রে ইউসি জমা পড়েনি, যার পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।” অনন্তবাবু জানান, সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার-সহ বিভিন্ন দাবিতে কাল, বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে ছুটির পরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। |