টুকরো খবর |
কর্মী বদলি নিয়ে বিক্ষোভ মহাকরণে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের এক কর্মীকে ‘অন্যায়’ ভাবে অন্য বিভাগে বদলির অভিযোগে মঙ্গলবার মহাকরণে বিক্ষোভ দেখান রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর তরফে মুখ্যসচিবকে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করা হলে বাধা দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে ওই সংগঠন আজ, বুধবার থেকে গণ-অবস্থান শুরু করতে চলেছে। ভূমি দফতরের রেজিস্ট্রার তথা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উৎপল মজুমদারকে মহাকরণ থেকে সরিয়ে পদোন্নতি দিয়ে ভবানী ভবনে মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো হচ্ছে। গত ৩১ মে ভারত বন্ধের দিনে হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মহাকরণে আসতে দেরি হয়েছিল ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের এক কর্মীর। সচিব পর্যায়ের অফিসার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কর্মীকে ‘অর্ধ দিবস ছুটি’ নিতে বলায় প্রতিবাদ করেছিলেন উৎপলবাবুরা। বিক্ষোভের মুখে দেবাশিসবাবু তখন পিছু হটেন। উৎপলবাবুর অভিযোগ, ওই দিন ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছিলেন বলেই তাঁকে মহাকরণ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
|
বিদ্যুৎ-মাসুল বৃদ্ধিতে ক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি রোধে রাজ্য সরকার ‘উদাসীন’ বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধিতেও সাধারণ মানুষ জেরবার হচ্ছেন। এর প্রতিকারে রাজ্য যাতে ব্যবস্থা নেয়, তার দাবিতে মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে সিইএসসির দফতরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মালা রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সব্জিবাজারে ঘুরছেন। কিন্তু তাতে দাম কমবে না। যে ভাবে বিদ্যুতের মাসুল বাড়ছে, তাতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উদাসীন। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কংগ্রেস রাস্তায় নামবে।”
|
বাসে বিজ্ঞাপনের দর বাঁধবে কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভাড়া না-বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, বিলাসবহুল ট্যাক্সি এবং অটোরিকশার গায়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাত সদস্যের কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিলে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র মঙ্গলবার এ কথা জানান। তিনি বলেন, ওই সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর কমিটিই নির্ধারণ করবে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিবহণ দফতরের যুগ্মসচিব আশিস ঠাকুরকে।
|
বিধানসভায় অসুস্থ সুভাষ নস্কর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিধানসভায় অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা আরএসপি বিধায়ক সুভাষ নস্করকে। এসএসকেএম হাসপাতালে আপাতত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিধানসভায় মঙ্গলবার বাজেট-বিতর্ক চলাকালীন অধিবেশন কক্ষেই অসুস্থ বোধ করেন সুভাষবাবু। তার পরে বিরোধীদের ঘরে তাঁকে পরীক্ষা করেন বিরোধী দলনেতা, চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্র। আসেন বিধানসভার চিকিৎসকেরাও। সুভাষবাবুর রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়েই সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে। বিরোধী দলনেতার ঘরে কিছু ক্ষণ বিশ্রামের পরে বিধানসভার অ্যাম্বুল্যান্স ডেকেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
|
সঙ্গী চিনতে ভুল মন্ত্রীরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এসইউসি-র বিধায়ক তরুণ নস্করকে ফ্রন্টের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করে বিধানসভায় প্রশ্নের উত্তর দিলেন নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। মঙ্গলবার বিধানসভায় অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তরুণবাবু জানান, কেন্দ্রের নিয়মে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ইত্যাদি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৩% সংরক্ষণ থাকার কথা। কিন্তু রাজ্য একটি নির্দেশিকা জারি করে সংরক্ষণের সেই ব্যবস্থা তুলে দিল কেন, সাবিত্রীদেবীর কাছে তা জানতে চান জয়নগরের বিধায়ক তরুণবাবু। তাঁকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, “৩৪ বছরে আপনারা কী করেছেন, জানি না। তবে তিন শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়টি আমাদের সরকার চালু করার চেষ্টা করছে।” বিধানসভায় বিরোধী ফ্রন্টের পিছনে বসে ছিলেন তরুণবাবু। মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে ওঠেন, “৩৪ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না!” ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জোটসঙ্গী হিসেবেই লড়েছিল এসইউসি।
|
রবীন্দ্রনাথ নই, আমি রবিরঞ্জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে ‘রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়’ বলে সম্বোধন করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্বে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেন তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর। তখনই কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রীকে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলে উল্লেখ করেন বিমানবাবু। প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে অবশ্য রবিরঞ্জনবাবু নিজেই স্পিকারের ভুল শুধরে দেন। স্পিকারকে মন্ত্রী বলেন, “স্যার, রবীন্দ্রনাথ নয়। নামটা রবিরঞ্জন!”
|
স্কুলে খাবারের টাকা বৃদ্ধির আর্জি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মিড-ডে মিলের জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করলেন সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার বিধানসভার উল্লেখ পর্বে এই প্রস্তাব দেন তিনি। আনিসুর বলেন, “সব্জির দাম প্রচণ্ড বেড়েছে। ফলে স্কুলে মিড-ডে মিলে তরকারির পরিমাণ কমে গিয়েছে। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।” এ ভাবে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে গোলমাল হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাই মিড-ডে মিলের জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে অথবা অন্য কোনও উপায়ে এই সমস্যা মেটানোর আবেদন জানান আনিসুর। |
|