তিপান্নতম অঙ্ক অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে এ বার বাংলার ছাত্রদের রমরমা। ৬ জনের দলে তিন জনই এ রাজ্যেরবাসিন্দা। এদের মধ্যে আছে তারকেশ্বরের তালপুর পাঠশালার একাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভম ভক্ত। শ্রীরামপুরের গোয়ালপাড়া লেনের দেবদ্যুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য জন নবদ্বীপের আকাশদীপ দে। পরের দু’জন গত বারও অলিম্পিয়াডে যোগদান করেছিল। ভারতীয় দলের সঙ্গে সকলে আগামী ৬ জুলাই যাবে আর্জেন্টিনায়। প্রতিযোগিতা চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। আপাতত চলছে তারই চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি।
১৯৫৯ সালে রুমানিয়ায় শুরু হয়েছিল অঙ্ক অলিম্পিয়াড। ভারত থেকে যোগদানের সূচনা ১৯৮৯ সালে। বর্তমানে একশোটিরও বেশি দেশ প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। এ বারের প্রতিযোগিতায় বাছাই পর্বের মাধ্যমে উত্তীর্ণ ৬ জনের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল শুভম। তার বাবা সঞ্জীবকুমার ভক্ত আরামবাগের বড়ডোঙ্গল রমানাথ ইন্সটিটিউশনের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক। মা শাশ্বতী গৃহবধূ। শুভম স্বপ্ন দেখে, বিজ্ঞানী হবে। তার কথায়, “ইন্টারনেট থেকে বহু দিন ধরে দিনের অনেকটা সময় জুড়ে গণিত চর্চা করি। প্রতিযোগিতায় ভাল কিছু করতে পারব বলে বিশ্বাস রাখি।” শুভম জানায়, চূড়ান্ত পর্বে তিনটি অঙ্ক কষতে দেওয়া হবে। সময় মিলবে সাড়ে ৪ ঘণ্টা। সঞ্জীববাবু বলেন, “অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই দেখেছি, অঙ্কের প্রতি ছেলের বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অন্য বিষয়ের বইয়ের পাতায় সামান্য চোখ বুলিয়েই অঙ্ক কষতে বসে যেত।” শাশ্বতীদেবীর কথায়, “ওর অসম্ভব স্মৃতিশক্তি। কোনও বই এক বার পড়লেই তারপর লাইনের পর লাইন হুবহু বলে যেতে পারে।”
তারপুর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল বলেন, “ছেলেটি প্রতিবার প্রণ স্থান না পেলেও গণিতে অসম্ভব সাবলীল।” স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় শুভমকে পৃথক ভাবেও পড়ান। তাঁর কথায়, “ওর মধ্যে আবিষ্কারের ক্ষমতা দেখতে পাচ্ছি। যা পড়াশোনা করার ও কার্যত নিজেই করে। আমরা শুধু উৎসাহ দিই।” |