অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলায় ফের ধাক্কা খেল স্যামসাং। ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালতে খারিজ হয়ে গেল স্যামসাঙের ‘গ্যালাক্সি ট্যাব ১০.১’ বিক্রি বন্ধের উপর স্থগিতাদেশ তোলার আর্জি। পাশাপাশি, আগামী ৩০ জুলাই নয়া মামলা শুরুর আগেই সংস্থাটির গ্যালাক্সি নেক্সাস স্মার্ট ফোনটির বিক্রির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওই আদালত।
এ দিকে, তাইওয়ানের সংস্থা এইচটিসি-র ফোন আমদানির ক্ষেত্রে অ্যাপলের নিষেধাজ্ঞার আর্জি খারিজ করে দিল মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন। স্যামসাঙের মতোই পেটেন্ট নিয়ে মামলা চলছে সংস্থা দু’টির মধ্যে। যে জন্য এইচটিসি-র ফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিল অ্যাপল। কিন্তু তা মঙ্গলবার খারিজ হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই স্যামসাং-এর বিরুদ্ধে ‘পেটেন্ট’ সংক্রান্ত মামলা জিতেছে অ্যাপল। যার ফলে আমেরিকায় নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে স্যামসাং-এর ট্যাবলেট কম্পিউটার ‘গ্যালাক্সি ট্যাব ১০.১’-এর বিক্রি। এই রায় ফিরে দেখতে ওই আদালতেই আবেদন করেছিল দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটি। এর সঙ্গেই ওয়াশিংটনের আপিল আদালতেও আর্জি জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার অবশ্য স্যামসাং-এর দাবি, নেক্সাসের পর আরও উন্নত মানের স্মার্ট ফোন বাজারে এনেছে তারা। তাই এই নিষেধাজ্ঞায় খুব একটা ক্ষতি হবে না তাদের। বরং আদালতের এই দুই নিষেধাজ্ঞার জেরে আমেরিকার মানুষই যে নতুন পণ্য ও উন্নত প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হবে, তাই মনে করিয়ে দিয়েছে স্যামসাং। যদিও অ্যাপলের দাবি, স্যামসাং অন্ধের মতো আই প্যাডের বৈশিষ্ট নকল করেছে। ফলে এই রায় যথাযথ। সংশ্লিষ্ট মহলেরও মত, নেক্সাসের বিক্রি বন্ধ হওয়া উল্লেখযোগ্য প্রভাব স্যামসাঙের ব্যবসায় না পড়লেও, এ ভাবে মামলা শুরুর আগেই বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
এ দিকে, স্যামসাঙের নতুন স্মার্ট ফোন গ্যালাক্সি এস থ্রি-র বিক্রি বন্ধের জন্যও আবেদন জানাতে চলেছে অ্যাপল। গত মাস থেকেই মার্কিন বাজারে ফোনটির বিক্রি শুরু হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যাপল আবেদন করলেও মামলা শুরু হতে অনেকটা সময় লাগবে। ফলে তত দিন আমেরিকায় ওই ফোন বিক্রি করতে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয় স্যামসাঙের। |