আগামী ৩১ জুলাই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর জানাল, চলতি অর্থবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার (ই-ফাইলিং) পরিমাণ ১০০ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে তারা। সে ক্ষেত্রে গত ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে যেখানে ১.৬৪ কোটি ই-রির্টান জমা পড়েছিল, সেখানে এই বছর সংখ্যাটা বেড়ে ৩.২০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বস্তুত, আয়কর দফতর ও আয়করদাতা, দু’পক্ষের সুবিধার যুক্তি দেখিয়েই প্রবল ভাবে অনলাইনে রির্টান দাখিলের জন্য সকলকে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্র। এমনিতে যাঁদের বছরে আয়ের পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায় এবং বিদেশে সম্পত্তি রয়েছে, কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী তাঁদের বৈদ্যুতিন মাধ্যম অর্থাৎ অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া এখন বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি নতুন আয়করদাতারা প্রথাগত পথে হাঁটার বদলে অনলাইনে কাজ সারতেই বেশি সচ্ছন্দ্য বোধ করছেন বলে মত আয়কর দফতরের কর্তাদের। এই কারণেই তাঁদের ধারণা, এ বছর রিটার্ন জমার এই পদ্ধতি আশাতীত সাফল্যের মুখ দেখতে পারে।
ই-রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়করদাতাদের এজেন্টগুলির গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। যাঁরা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আয়কর দিতে চান, তাঁদের সাহায্যের জন্য প্রায় ১০০টি পোর্টালকে এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর। তাদেরই অন্যতম ট্যাক্সস্প্যানার ডট কম-এর সিইও অঙ্কুর শর্মার কথায়, “গত অর্থবর্ষে ২.৫ লক্ষ আয়করদাতাকে ই-রির্টান দাখিল করতে সাহায্য করেছিলাম আমরা। এই বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লক্ষ। কারণ ঝামেলাবিহীন পদ্ধতি হিসেবে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।” এ যুগের আয়করদাতারা প্রযুক্তির ব্যবহারে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ্য হওয়ার কারণেও এই প্রবণতা বাড়ছে বলে ধারণা সব মহলের।
|
মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিতেই বাজারদর নিয়ে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালেই মহকুমাশাসক ও বিডিও-দের নেতৃত্বে জেলা জুড়ে সব্জি বাজারে অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি, চালের পাইকারি বাজার, আলুর আড়ত এবং হিমঘরেও যান কর্তারা। জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, খাদ্য ও কৃষি বিপনন দফতরের অফিসারেরা বর্ধমান শহরে পুলিশ লাইন ও বাজেপ্রতাপপুর, মেমারি, রায়না, কাটোয়া, কেন্দা, বর্ধনপুর, আসানসোল আদালত চত্বর, ডিসিএম, বেনাচিতি, জামুড়িয়া, সালানপুর ও বার্নপুরে প্রধান বাজারে হানা দেন। তাঁর দাবি, এই অভিযানের ফলে সব্জির দাম কমতে শুরু করেছে।
|
এক ধাক্কায় ১০৫। মঙ্গলবার ডলারে টাকার দাম এক ধাক্কায় বাড়ল ১০৫ পয়সা বা ১.৮৯%। আর, তার জেরে টাকা উঠে এল ৫৪-র ঘরে। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়াল ৫৪.৩৮ টাকা। গত কালের দর ৫৫.৪৩। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নব্বইয়ের দশকে আর্থিক সংস্কারের কাণ্ডারী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ায় প্রাণ ফিরবে ভারতীয় অর্থনীতিতে। যে আশাতেই চাঙ্গা বাজারে ফিরেছেন বিদেশি লগ্নিকারীরা। তাঁদের লগ্নি এবং রফতানিকারী ও ব্যাঙ্ক -এর ডলার বিক্রিই টাকাকে তুলেছে। এই নিয়ে টানা চার দিন বেড়ে গত প্রায় দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্ক ছুঁল টাকা। এ দিন সেনসেক্সও ২৭ পয়েন্ট ওঠে। শুরুতে অবশ্য দশ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্ক, ১৭,৫২৬.৮২ ছুঁয়ে ফেলেছিল সূচক। শেষে এ বার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হবে কিনা, সেই চিন্তায় নেমে যায় কিছুটা।
|
আর্থিক সঙ্কটাপন্ন কিংফিশারকে দেওয়া ৪৩০ কোটি টাকার ঋণ শ্রেয়ী ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বিক্রি করল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। ওই ঋণের পুরোটাই এখন অনুৎপাদক সম্পদ। ফলে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ব্যালান্স শিটে অনুৎপাদক সম্পদের অঙ্ক কিছুটা কমল। পরে টাকা আদায়ের সম্ভাবনা থাকলে এ রকম লেনদেনে ঋণের অঙ্কের থেকে কম দামে তা কিনে নেয় কোনও সংস্থা। |