অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার ঘটনা। অন্য দিকে, সাঁইথিয়া থানা এলাকায় এক বধূকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দু’টি ঘটনাই ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার ধৃত ওই শিক্ষকের কাছে ছাত্রছাত্রীরা টিউশন পড়ে। এ দিন ওই শিক্ষকের স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিল না। পুলিশের দাবি, ওই ছাত্রীর মা থানায় অভিযোগে জানিয়েছেন, সেই সময় তিনি অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে পড়তে ডাকেন। ওই ছাত্রীর সঙ্গে আরও এক ছাত্রী পড়তে আসে। অভিযোগ, অন্য পড়ুয়াকে বই আনতে পাঠিয়ে তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। খবর ছড়িয়ে পড়তে বাসিন্দারা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শিক্ষককে তাঁর বাড়িতে ঘেরাও করে রাখেন। দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশ শিক্ষককে উদ্ধার করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
অন্য দিকে, এ দিন সাঁইথিয়া থানা এলাকার একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশি মদের দোকানের পাশে বসে দুই যুবক মদ্যপান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় এক বধূ ওই দেকানে এসেছিলেন। অভিযোগ, তখন ওই দুই যুবক বধূটির শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। দোকানের কর্মীরা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে তাঁদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” |