কাজ দ্রুত শেষ করাই উদ্দেশ্য
কারখানার দায়িত্বে এ বার আরবিএনএল
পুরুলিয়ার আনাড়ায় রেল কোচের মধ্যবর্তী পুনর্বাসন কারখানার নির্মাণকাজের দায়িত্ব পটনার ‘ওয়ার্কশপ প্রজেক্ট অর্গানাইজেশনের’ বদলে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডকে (আরবিএনএল) দিয়েছে রেল বোর্ড। নির্মাণকাজে গতি আনার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। রবিবার ওই কারখানার নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে এ কথা জানান বলে জানান রেল বোর্ডের সদস্য (মেকানিক্যাল) কেশব চন্দ্র। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ওমপ্রকাশ চৌবে, দুই সংস্থার পদস্থ আধিকারিক এবং আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার।
প্রায় দু’বছর আগে আনাড়ায় এসে ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী অধুনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের দায়িত্ব পায় পটনার রেলের ওই সংস্থাকে। টেন্ডার ডাকা, পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র মেলা-সহ কিছু বিষয়ে দেরি হওয়ায় প্রকল্প নির্মাণের কাজ এমনিতেই যথেষ্ট পিছিয়ে। চলতি ফ্রেবুয়ারি মাস থেকে নির্মাণকাজ শুরু করেছে পটনার ওই সংস্থাটি।
রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে কামরার প্রয়োজন বাড়ার প্রেক্ষিতে রেল মন্ত্রক চাইছে আনাড়ার কারখানার কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে। জাতীয় ও রাজ্য স্তরে উল্লেখযোগ্য দ্রুত গতিতে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নজির রয়েছে আরবিএনএলের। কেশব চন্দ্র বলেন, “নির্মাণকাজে আরও গতি আনতেই আরবিএনএলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে রেল বোর্ড আরবিএনএলকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা প্রকল্পের দাায়িত্ব হাতে নেবে।
ঠিকাদারি সংস্থার বদল ঘটলেও প্রকল্পে জলের সংস্থান এখনো করে উঠতে পারেনি রেল। সমস্যা আরও বেড়েছে প্রকল্প এলাকার পাশেই সাহেববাঁধের জল ওই প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছে রেলকর্মীদেরই সংগঠন মেন্স কংগ্রেস। রবিবার কেশব চন্দ্রকেও সেই আপত্তির কথা তারা জানিয়েছে। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দে বলেন, “সাহেব বাঁধের জল এই প্রকল্পে ব্যবহার করলে আনাড়া রেল শহর জল পাবে না।”
অথচ সাহেব বাঁধকেই প্রাথমিক ভাবে জলের উৎস বলে ধরা হয়েছিল। জল-সমস্যার কথা মেনেছেন কেশব চন্দ্রও। তিনি জানান, ডিভিসি-র কোনও জলাধার থেকে প্রকল্পে জল নিয়ে আসার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু, বিষয়টি সহজ নয়। তাঁর কথায়, “আদ্রায় রেলের বিদ্যুৎকেন্দ্রে জল দেওয়ার পরে ডিভিসি আদৌ আনাড়ার প্রকল্পে জল দিতে সম্মত হবে কি না, হলেও কতটা জল দেবে, আমাদের তা জানা নেই। ওদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
রবিবার রেল বোর্ডের ওই কর্তার কাছে গ্রাম থেকে বাইরে বেরনোর রাস্তা ও গ্রামে জলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান প্রকল্প এলাকার পাশের গ্রাম রানিপুরের বাসিন্দারা। বস্তুত, এই প্রকল্পের জন্যই গ্রাম থেকে বাইরে বেরনোর রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীদের আন্দোলনের জেরে নির্মাণকাজ আগে কয়েক বার ব্যাহত হয়েছে। প্রকল্পের জন্য গ্রামবাসীদের সমস্যায় পড়তে হবে না এবং রেল সহানুভূতির সঙ্গে তাঁদের দাবি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কেশব চন্দ্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.