|
|
|
|
পুলিশের জালে ৫ ভাড়াটে খুনি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
‘মার্ডার সিন্ডিকেট’ গড়ে কয়েক বছর ধরে বহরমপুর ও সংলগ্ন এলাকায় রীতিমতো ‘ব্যবসা’ ফেঁদে বসেছিল তারা। গত তিন দিনে ওই ‘মার্ডার সিন্ডিকেট’-এর ৫ জনকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দাবি করা হয়েছে। |
|
মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “বছর চারেকের মধ্যে বহরমপুরে ৭টি খুন এবং ২টি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩ জনকে সোমবার সকালে ৬৫ কেজি গাঁজা-সহ গ্রেফতার করা হয়। তারা ভাড়াটে খুনি হিসাবে বেশ কয়েক বছর ধরে খুন করার পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মনাম নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল।” পুলিশ জানায়, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে ওই ‘মার্ডার সিন্ডিকেট’-এর সদস্য অন্তত জনা পঁচিশ। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বারো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে তারা কোন কোন খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তা জানিয়েছে তারা। পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে বেলডাঙায় গাঁজা পাচার করার সময় বহরমপুর বাস টার্মিনাসের কাছ থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বহরমপুরের ওই তিন যুবকের নাম রতন হাজরা, উৎপল হাজরা ও পরেশ চৌধুরী। তাদের কাছ থেক ৬৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ছোটন দত্তকে রবিবার ও জিতেন সাহাকে তারও দু’ দিন আগে গ্রেফতার করা হয়। ওই সিণ্ডিকেটের মাথা কে তা তদন্তের স্বার্থে আপাতত বলতে চায়নি পুলিশ। তবে তাদের লুকিয়ে রাখতে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য মোটা টাকা যোগানো হয়। তা ছাড়াও অভিযুক্তদের পরিবারের ভরণপোষনের জন্য মাসিক ১০-১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই ‘সিণ্ডিকেটের পাণ্ডার নাম না করলেও ইতিমধ্যে যাদের গ্রেফতার করেছে সেই তালিকায় রয়েছে বহরমপুর পুর-কাউন্সিলর অপর্ণা শর্মার স্বামী খোকন শর্মা। গত কয়েক মাসে বহরমপুর এলাকায় খুন হয়েছিলেন মজিদ, কামাল, প্রণব, সবুর-সহ অনেকেই। তাদের পরিবারের সদস্যদের এ দিন ধৃতদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় পুলিশ। গত বছর বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুন হন তৃণমূল কর্মী কামাল। খুনের ঘটনার সময় কামালের মোটরবাইকে ছিলেন তাঁর মেয়ে কারিশ্মা কামাল। তিনি তখন জখম হয়েছিলেন। এ দিন ধৃতদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কারিশ্মাও। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক দাস অবশ্য বলেন, “বাম জমানায় পুলিশকে ক্যাডারের ভূমিকায় নামিয়ে সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে খুনের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়। তৃণমূল আমাদের নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পুলিশি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।” |
|
|
|
|
|