টুকরো খবর
পস্কো প্রকল্প নিয়ে নয়া চুক্তি শীঘ্রই
পারাদীপের কাছে জগৎসিংহপুরে পস্কোর প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্পের জন্য ফের নতুন করে চুক্তি করবে ওড়িশা সরকার। কোরীয় সংস্থাটির সঙ্গে এর আগে ২০০৫ সালে চুক্তি করে তারা। কিুন্তু তার পর থেকেই ওই এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করা নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে ওড়িশা। জমি জটে প্রস্তাবিত ৫২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আটকে আছে সাত বছর ধরে। এ দিকে, প্রকল্পের জন্য চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়েছে গত বছরেই। ফলে তার পর নতুন করে এই চুক্তি করতেই হত দুই পক্ষকে। ওড়িশার খনিমন্ত্রী রঘুনাথ মোহান্তি জানান, প্রকল্প এলাকা থেকে ৩০% লৌহ আকরিক রফতানিতে কেন্দ্রের আপত্তির কথা মেনে নিয়েছে পস্কো। ফলে সেই শর্ত বাদ দিয়েই সংস্থার সঙ্গে নয়া চুক্তি করবেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে ওড়িশা মাইনিং কর্পোরেশনের মাধ্যমে দেশের মধ্যে থেকেই প্রকল্পের জন্য লৌহ আকরিক আমদানি করতে হবে পস্কোকে। করতে পারবে না রফতানিও। রফতানির বিষয়টি যাতে চুক্তি থেকে পুরোপুরি বাদ যায়, গত বছরই তা নির্দিষ্ট করতে বলেছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। এ দিকে, শীঘ্রই পস্কোর হাতে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ২,০০০ একর জমি তুলে দেওয়া হবে বলে ফের জানাল ওড়িশা সরকার। যাতে তারা প্রথম দফায়, বছরে ৮০ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতার কারখানা তৈরির কাজ শুরু করে দিতে পারে। এই পর্বে মোট ২,৭০০ একর জমি লাগবে। সে ক্ষেত্রে বাকি ৭০০ একরও দ্রুত অধিগ্রহণ করে হস্তান্তর করা হবে। দু’সপ্তাহের মধ্যেই অধিগ্রহণের কাজও শুরু করবে ওড়িশা। তবে এ বার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করেই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা। প্রাথমিক ভাবে কথা বছরে ১.২০ কোটি টনের ইস্পাত কারখানা গড়তে চুক্তি করেছিল পস্কো। যার জন্য দরকার ৪,০০৪ একর জমি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রথম দফার লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৮০ লক্ষ টন করেছে সংস্থা। চলতি বছরেই শেষেই যার জন্য কাজ শুরু করতে চায় পস্কো।

জুনে মারুতির বিক্রি ছাড়াল ২০%
সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে দেশে গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে তেমন কোনও প্রবণতা লক্ষ করা গেল না। এই সময়ে মারুতি-সুজুকি, হুন্ডাইয়ের মতো কিছু সংস্থার বিক্রি বাড়লেও, উল্টোটাই নজরে পড়েছে টাটা মোটরস, হোন্ডা সিয়েল কারসের মতো সংস্থায়। তবে জুনে বিক্রি বাড়লেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা গত মে মাসের তুলনায় কম বলে দেখা গিয়েছে গাড়ি সংস্থাগুলির প্রকাশিত পরিসংখ্যানে।পেট্রোলের দাম বাড়া ও চড়া সুদ কয়েক মাস ধরেই সমস্যায় ফেলেছিল গাড়ি শিল্পকে। ঋণে সুদ কমার আশা থাকলেও, তা হয়নি। পাশাপাশি, পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির জেরেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা যায়নি। বাজেটে উৎপাদন শুল্ক বাড়ার কারণে দাম বাড়িয়েছে অনেক সংস্থাই। ফলে সামগ্রিক ভাবে এই মুহূর্তে গাড়ি কেনা থেকে বিরত থাকাই পছন্দ করছেন বহু ক্রেতা। যদিও চাহিদা বেড়েছে ডিজেল গাড়ির। আলোচ্য মাসে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা মারুতি-সুজুকির রফতানি-সহ বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০.৩% বেড়ে হয়েছে ৯৬,৫৯৭টি। তবে এই সংখ্যা গত মে মাসের তুলনায় কম। মূলত সেডান ডিজায়ার ও আর্টিগা-র মতো ভারী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৪৫২.৭% এবং ২৯৪৭.৬%। টাটা মোটরসের বিক্রি গত বছরের থেকে ৩% কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪,৩৪১টিতে। ৩.৫% বেড়ে হুন্ডাইয়ের বিক্রি প্রায় সাড়ে ৫৪ হাজার। তবে তা মে-র তুলনায় কম। বিক্রি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে অডি, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা, স্কোডা অটো, টয়োটা কির্লোস্কর, নিসান, ভলভো-আইশার ইত্যাদি সংস্থাও। অন্য দিকে, বিক্রি কমেছে জেনারেল মোটরস, ফোর্ড, হোন্ডা সিয়েল কারস, ভোক্সভাগেনের মতো সংস্থার। দ্বিচক্রযানের ক্ষেত্রে বিক্রি বেড়েছে হিরো মোটো কর্প এবং হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়ার। কমেছে বজাজ অটো এবং টিভিএসের।

চা রফতানিতে গুণমান বজায় রাখতে পর্ষদ
রফতানির আগে বিদেশে চায়ের নমুনা পাঠানো হলেও পরে দেখা যায় তার মান বেশ খারাপ। অনেক সময়েই বিদেশি ক্রেতারা ভারতীয় চা নিয়ে এই অভিযোগ তোলেন। সেই ‘বদনাম’ ঘোচাতে নজরদারির জন্য চা শিল্পের বিশেষ পর্ষদ তৈরি করছে টি বোর্ড। সোমবার ক্যালকাটা টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১১৭তম বার্ষিক সভায় বিষয়টি জানান টি বোর্ড চেয়ারম্যান এম জি ভি কে ভানু। টি বোর্ড সূত্রে খবর, রফতানিযোগ্য চায়ের মান পরীক্ষার জন্য বোর্ডের উপযুক্ত পরিকাঠামো না-থাকায় নজরদারির অভাব আছে। যে-সব সংস্থা নিয়ম মেনে ব্যবসা করে, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের জন্য তাদেরও বদনাম হয়। তাই উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের জন্য পৃথক দু’টি পর্ষদ তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। শিল্পমহলের সঙ্গে বোর্ডের প্রতিনিধিরা তাতে থাকবেন। প্রমাণ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বোর্ডের কাছে সুপারিশ করতে পারবে পর্ষদ। ৩-৬ মাসের মধ্যে এটি চালু করতে চায় বোর্ড। গুদামের মানোন্নয়নের উপরেও জোর দিচ্ছে বোর্ড। কর্তারা জানান, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে এ বছরের মধ্যেই যৌথ উদ্যোগে ছ’লক্ষ বর্গ ফুটের অতিরিক্ত গুদাম তৈরির পরিকল্পনা আছে। তা তৈরি হলে পুরনো গুদামগুলির উপর নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।

সংযুক্তিতে সায়
সেসা গোয়া এবং স্টারলাইট ইন্ডাস্ট্রিজের সংযুক্তিতে সায় দিলেন দুই সংস্থার শেয়ারহোল্ডাররা। চলতি বছরের শেষেই এই সংযুক্তি সম্পূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বেদান্ত গোষ্ঠীর দুই সংস্থা। স্টারলাইট ইন্ডাস্ট্রিজ ও সেসা গোয়ার যৌথ উদ্যোগটির নাম হবে ‘সেসা স্টারলাইট’। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সমস্ত ব্যবসা এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিল বেদান্ত রিসোর্সেস। বেদান্ত গোষ্ঠীর অন্তর্গত বিভিন্ন শাখার পারস্পরিক শেয়ার মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান করতে এবং ব্যবসা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিল তারা। এই সংযুক্তিতে ইতিমধ্যেই সায় দিয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন। আপাতত গোয়া এবং মাদ্রাজের বম্বে হাইকোর্ট এবং বৈদেশিক লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদের অনুমতি সাপেক্ষ।

পুজো প্যাকেজ কেবিএস-এর
পুজোর এখনও ঢের দেরি। তাতে কী? পুজোর কথা মাথায় রেখে ভোজনরসিকদের জন্য নানা স্বাদের খাবারের আয়োজনে নেমে পড়ল কেবিএস গ্রুপ পরিচালিত শিলিগুড়ির দাগাপুরের একটি রেস্তোরা। সংস্থার তরফে কর্ণধার সঞ্জয় গোস্বামী সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের ‘ব্যঞ্জন’ রেস্তোরায় নিরামিষ ও আমিষ থালার আয়োজন করা হয়েছে। ‘টেস্ট বাড’-এ মিলবে চিনা খাবারের ‘প্যাকেজও’। সঞ্জয়বাবু বলেন, “পুজোয় আগত পর্যটকদের নানা প্যাকেজ দেওয়া হয়ে থাকে। আমরা এ বার অনেক আগেই খাবারের প্যাকেজ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। পর্যটকদের জন্যে তো বটেই, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে দেশ-বিদেশের নানা স্বাদের খাবার সমাদৃত হবে বলে আশা করছি।”

কিংফিশারে সমস্যা মিটল না
সমস্যা মিটল না কিংফিশার এয়ারলাইন্সে। বকেয়া বেতন নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছেন ওই বিমানসংস্থার পাইলটদের একাংশ। আজ ধর্মঘটী পাইলটদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কিংফিশার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তাতে সমস্যা মেটেনি। ধর্মঘটের জেরে আজ মুম্বই থেকে চারটি উড়ান বাতিল করেছে কিংফিশার।

ইউবিআইয়ের প্রয়াস
গ্রাহক তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে নয়া কেন্দ্র চালু করল ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। কলকাতায় ব্যাঙ্কের সদর দফতরে কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে। ব্যাঙ্কের দাবি, এখানে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি (ফিসিং), ‘ট্রোজান’ ভাইরাস-সহ সাইবার অপরাধের উপর নজর রাখা হবে।

ব্যবসা সম্প্রসারণে
ব্যবসা বাড়াতে ‘গোল্ড টাচ’ ব্র্যান্ডের সিমাই, জ্যাম জেলি ও আচারের সম্ভার আনল গোল্ড মাইন ফুড প্রোডাক্টস। ওই একই ব্র্যান্ডের ঘি-ও বাজারে রয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.