|
|
|
|
বিশ্ব রাজনীতির অঙ্ক বদলেই ফাসিদের ফেরত দিচ্ছে সৌদি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আবু হামজার পর ফাসি মাহমুদ। সৌদির জালে ধরা পড়ল ভারতের আরও এক জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি। রিয়াধ জানিয়েছে, দিল্লি চাইলে ফাসিকে তাদের হাতে তুলে দিতে কোনও অসুবিধা নেই। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ও দিল্লির জামা মসজিদে বিস্ফোরণে যুক্ত সন্দেহে ভারতের গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছে ফাসিকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, সৌদি আরবে আটক করা হয়েছে তাকে। নয়াদিল্লির সঙ্গে এ ব্যাপারে রিয়াধের প্রয়োজনীয় কথাবার্তাও হয়েছে। ফাসিকে নিয়ে আসতে নয়াদিল্লি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে।
হামজা এবং ফাসি, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পর পর দু’টি ক্ষেত্রেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব। কূটনৈতিকদের বক্তব্য, রিয়াধ-নয়াদিল্লি সম্পর্ক এখন অনেকটাই উষ্ণ। এক সময়ে আমেরিকার পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও সখ্য বাড়িয়ে তুলেছিল সৌদি আরব। কিন্তু গত এক দশকে আম্তর্জাতিক অনেক সমীকরণেরই বদল হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক তৈরি করেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশ্নে নয়াদিল্লির পাশেই দাঁড়িয়েছে ওয়াশিংটন। লাদেন-পরবর্তী বিশ্বে পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা এবং সে দেশ থেকে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাস সরবরাহ করার বিষয়ে সরব হয়েছে আমেরিকা। সৌদির কাছেও এ ব্যাপারে সহায়তা চেয়েছে ওবামা প্রশাসন। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, “ইসলামাবাদের সঙ্গে রিয়াধের সম্পর্কও আগের মতো নেই। সৌদি নিজেও সন্ত্রাসের ভূক্তভোগী। লস্কর-ই-তইবা এবং আল কায়দা যে একই মুদ্রার দু’টি পিঠ, তা এত দিনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পরে জঙ্গিদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়ে আইএসআই-এর সঙ্গে আর হাঁটতে রাজি নয় রিয়াধ।”
এ ছাড়াও একটি বড় কারণ আছে। তা হল ভারতে তেলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বিরাট বাজার। ঘোষিত ভাবেই ইরান থেকে তেল আমদানি কমাচ্ছে নয়াদিল্লি। সেই ঘাটতি মেটাতে তেল আমদানির কথা হচ্ছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং সৌদি আরব থেকে। আগামী দিনে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে উৎসাহী সৌদিও। স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপত্তা প্রশ্নে নয়াদিল্লিকে সাহায্য করাটা রিয়াধের কাছে বিভিন্ন কারণেই লাভজনক। |
|
|
|
|
|