চার দিন ধরে মালদহ-নালাগোলা রুটে বেসরকারি সমস্ত যান চলাচল বন্ধ। চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স থেকে শুরু করে মালদহ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করার আবেদন জানানোর পরেও কাজ না-হওয়ায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যাদের আন্দোলনে চার দিন ধরে মালদহ-নালাগোলা রুটে সমস্ত বেসরকারি যান বন্ধ সেই আইএনটিইউসি দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে সোমবার পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভে অভিযানের ডাক দিয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুন সকালে পাকুয়াহাটে এক যাত্রী ম্যাক্সিট্যাক্সির চালককে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর ম্যাক্সিট্যাক্সির চালকরা দোষী ব্যক্তির গ্রেফতার দাবি করে দুপুর ১২ টা থেকে পাকুয়াহাটের রাস্তা অবরোধ করে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অবরোধ না ওঠায় পুলিশ লাঠিচার্জের পশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করে পথ অবরোধ তুলে দেয়। পরে ধৃত চার ম্যাক্সিট্যাক্সির চালককে আদালতে পাঠানো হলে জামিন নামঞ্জুর হয়। ওই ৪ চালক এখনও জেল হাজতে। পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে ২৮ জুন থেকে আইএটিইউসি মালদহ-নালাগোলা রুটে সমস্ত বেসরকারি যান চলাচল বন্ধ করে আন্দোলনে নামে। আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার দাবিতে সংগঠনের চালক ও খালাসিরা শান্তিপূর্ণ ভাবে পথ অবরোধ করছিলেন। পুলিশ অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। লাঠিচার্জে জখম হয়ে ৪ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে চার দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ করার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। সোমবার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা বিক্ষোভ হবে। টানা চারদিন ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা। তিনি বলেন, “মালদহ-নালাগোলা বেসরকারি যান চলাচল বন্ধের ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছুই জানায়নি।” জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।” মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক উজ্জল সাহা বলেন, “চারদিন ধরে একটা গুরুত্বপূর্ণ রুটে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ। জেলা প্রশাসনের হুঁশ নেই। মাচের্ন্ট চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত মালদহ-নালাগোলা রুটে যান চলাচল চালু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তারপরেও জেলা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এটা দুভার্গ্যজনক।” মালদহ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল রায় দাবি করেন, তিনি নিজে জেলাশাসককে ফোন করে সাহায্য চান। তিনি বলেন, “এরপরেও জেলাশাসক কী করে বলেন যে তিনি কিছুই জানেন না।” |