নিজস্ব সংবাদদাতা • নকশালবাড়ি |
বনকর্মীর গুলিতে চা শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে মামলা হলেও বন দফতর এবং পুলিশি তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ করলেন নিহতের পরিবারের লোক। ২১ জুন নকশালবাড়ির মেরিভিউ চা বাগানের লোহাসিং ডিভিশনের শ্রমিক মিলন রাউতিয়া টাইপু বিটে গরু খুঁজতে গেলে তাঁকে বনকর্মীরা গুলি করে মারেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরে পুলিশ বা বন দফতরের তদন্তকারী দলের কেউই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে দাবি করেন নিহতের স্ত্রী রেশমা রাউতিয়া। তিনি বলেন, “শ্রাদ্ধশান্তির জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছে বন দফতর। সেটা তো ক্ষতিপূরণের অংশ। যাঁরা স্বামীকে খুন করল তাঁদের শাস্তির কী হল? পুলিশ কিংবা ফরেস্টের কেউ তো একদিনও আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এল না!” কার্শিয়াং বন বিভাগের ডিএফও শৈলেশ আনন্দের দাবি, “প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আমাদের তদন্তকারী অফিসার দেখা করবেন।” অন্যদিকে, শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “ঘটনার দিন নিহতের পরিবারের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। প্রয়োজনে আরও বলবে।” গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক অভিরঞ্জন ভাদুড়ি বলেন, “মেরিভিউ চা বাগানের ঘটনাটি জানিয়ে তদন্তে চাইব রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে। ইতিমধ্যেই আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।” তাঁর বক্তব্য, “হামলাকারীর মৃত্যুর পরে দেহের কাছাকাছি কোনও জায়গা থেকে বনকর্মীরা অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেননি। ফলে হামলার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।” রেঞ্জ অফিসার তপন দাস বলেন, “ওই এলাকায় কাঠচোরেরা চোরাই কাঠ বহন করার জন্য চা বাগান থেকে শ্রমিক ভাড়া নেয়। মিলন তেমনই এক জন ছিল।”
|
নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুক পুলিশ: গৌতম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মাল্লাগুড়িতে দার্জিলিং জেলা পুলিশের অনুষ্ঠানে গৌতম দেব। —নিজস্ব চিত্র। |
রং না দেখে পুলিশকে কাজ করার নির্দেশ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে দার্জিলিং জেলা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ওই কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “নিরপেক্ষ ভাবে পুলিশকে কাজ করতে হবে। কোনও রং দেখার দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সে কথা বলেছেন। তিনি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছেন। কেউ আইন ভাঙলে পুলিশকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি যে দলেরই হোক না কেন? আপনারা সংবিধান, আদালত এবং সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ। কোনও দলের কাছে দায়বদ্ধ নন।” এদিন মাল্লাগুড়িতে সাদা-নীল রংয়ের পুলিশের ১১টি গাড়ি উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে সাতটি নতুন। জেলা পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবাল জানান, এ বারে জেলার সমস্ত পুলিশের গাড়ি লালের পরিবর্তে নীল ও সাদা রং করা হবে। তিনি বলেন, “লাল রংয়ের গাড়িতে পুলিশকে দেখে সাধারণ মানুষের অনেকেই ভয় পান। নীল-সাদা রং দেখে সে ভয় কাটবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এ ছাড়া সরকারের সমস্ত অফিস নীল-সাদা করা হচ্ছে। একটা সৌন্দর্য ফুটে উঠছে।” এ দিন পুলিশের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপন করা হয়। ৫০০টি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও রক্তদান শিবির করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজাও উপস্থিত ছিলেন।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
উচ্চ মাধ্যমিকের অভাবী কৃতী ছাত্রের কলেজের পড়াশোনারয় আর্থিক সাহায্য করলেন মালবাজারের সার্কেল ইন্সপেক্টর অশোক সাহা। এ বারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গজলডোবা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৮৩ নম্বর পান সুজিত রায়। তার বাড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের মিলনপল্লি এলাকায়। বাবা মারা যাওয়ায় মা দিনমজুরি করে সংসার চালান। মাধ্যমিকের পর অর্থের অভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারেননি সুজিত। টিউশন করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলেজে সুজিত ভূগোলে অনার্স নিয়ে ভর্তি হলেও বই কিনে উঠতে পারেননি। রবিবার তাকে নিজ দফতরে ডেকে পাঠান অশোকবাবু।
|
কাওয়াখালিতে সংঘষর্, জখম ৮ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কাওয়াখালি প্রকল্পে জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন জখম হয়েছেন। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে মাটিগাড়া থানার কাওয়াখালিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজনের চোট গুরুতর হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কাওয়াখালি পোড়াঝার ভূমি হারা কমিটির অভিযোগ, কাওয়াখালি পোড়াঝার ভূমি রক্ষা কমিটি থেকে বেশ কয়েকজন কৃষক ভূমি হারা কমিটিতে যোগ দিয়েছে। তাঁদের কিছু টাকা ওই সংগঠনের কাছে রয়েছে। এদিন সেই টাকা চাইতে গেলে তাঁদের ৭ জন সদস্যকে মারধর করা হয়। ভূমি রক্ষা কমিটির অভিযোগ, তাঁদের সাপ্তাহিক সভা চলার সময় ওই সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের ৩ জন জখম হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |