বহরমপুর পুরসভা রবিবার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ‘টাচস্ক্রিন’ কিয়স্ক মেশিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করল। এই দিনই ছিল পুরসভার প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৮৭৬ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় বহরমপুর পুরসভা। সাংসদ অধীর চৌধুরী এই দিন এই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করে বলেন, “জনসংখ্যার বিচারে ১৮৭৬ সালে বহরমপুর পুরসভা ছিল সি-ক্যাটেগরির। ১৩৬ বছর পরে ২০১২ সালেও বহরমপুর পুরসভা সি-ক্যাটেগরিতেই অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া পুরসভা হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। অথচ এই কয়েক বছরে জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় পৌনে ২ লক্ষ হয়েছে। কিন্তু ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত না হওয়ার ফলে জনসংখ্যা বিচারে উন্নয়ন খাতে রাজ্য সরকার যে অর্থবরাদ্দ করে, তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে এই পুরসভা।” তাঁর দাবি, “আমাদের বহরমপুরের নাগরিকদের সেই অভিমান, প্রতিবাদ, ক্ষোভের কথাও যেন ওয়েবসাইটে উল্লেখ থাকে।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “পুরসভার এই পদক্ষেপ নেওয়ায় পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার দিকটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল।” এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজীব কুমার। ওয়েবাসাইটে পুরসভার বিভিন্ন কর মেটানো থেকে ‘শুভদৃষ্টি’ বিয়েবাড়ি বুকিং যেমন সম্ভব হবে, তেমনি পুরসভা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও জানা যাবে। এদিন স্বাগত ভাষণে পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “অনলাইনে যাবতীয় কর মেটানোর সুবিধা থাকছে। পাশাপাশি আগের মতোই খাতায়-কলমে যেমন কাজ হত, তেমনই হবে।” কিয়স্কের মাধ্যমে ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন। একই ভাবে সংস্কৃতির হাল-হকিকতও জানা যাবে। নাগরিকেরা পুরসভার কাজের সমালোচনাও করতে পারেন ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। |