হুল দিবসে অনুষ্ঠান পশ্চিমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম
|
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পালিত হল হুল দিবস। এই উপলক্ষে শনিবার সকালে মেদিনীপুর সদর ব্লক কার্যালয়ে প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়, বিডিও অয়ন নাথ প্রমুখ। রক্তদান শিবিরও হয়। ৪১ জন রক্ত দেন। সেই সঙ্গে ২৯ জন ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অন্য দিকে, ঘাটাল শহরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয় হুল দিবসে। উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী। তিনি মাদলও বাজান। পরে ঘাটাল স্টেডিয়ামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ক্ষীরপাই হুল উৎসব উদ্যাপন কমিটি নানা কর্মসূচি নিয়েছিল এ দিন। শনিবার বিকেলে চন্দ্রকোনা রোডের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। |
|
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ঘাটালে। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় তিন দশক ধরে নারী ও শিশু কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য শনিবার হুল দিবসে ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ-কর্মী স্বাতী দত্তকে সংবর্ধনা দেয় ‘নিখিল ভারত বনবাসী পঞ্চায়েত সমিতি’। স্বাতীদেবীর পাশাপাশি, ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রফুল্ল মাহাতো ও নেদাবহড়া পঞ্চায়েতের প্রধান হীরামণি মাণ্ডিকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শনিবার বিকেলে সর্বভারতীয় ওই সংস্থাটির ঝাড়গ্রামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়-প্রাঙ্গণে ‘হুল দিবস’ পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বনবাসী আন্দোলনের দুই প্রবীণ নেতা দাখিন মুর্মু ও সুধাকর মাহাতো এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী খগেন্দ্রনাথ মাণ্ডি। সত্তরের দশকে প্রাক্তন আন্দামান বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামী দীনেশ দাশগুপ্তের নেতৃত্বে জঙ্গলমহলে জল-জমি ও জঙ্গলের উপর বনবাসীদের অধিকার রক্ষার দাবিতে ‘বনবাসী আন্দোলনে’র সূচনা হয়েছিল। সেই আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন দাখিন মুর্মু ও সুধাকর মাহাতো। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী প্রাক্তন আন্দামান বন্দি বর্তমানে প্রয়াত দীনেশ দাশগুপ্তের উদ্যোগে ১৯৭৮ সালে ‘নিখিল ভারত বনবাসী পঞ্চায়েত সমিতি’ গঠিত হয়। মূলত পিছিয়ে পড়া বনবাসী মানুষজনের উন্নয়নের জন্যই সংগঠনটি গঠন করা হয়েছিল বলে প্রতিমাদেবী জানান। |
|