|
|
|
|
স্কুল ও ব্যাঙ্কের ভোটে প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর
|
ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর ও স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই আবারও প্রকাশ্যে এল।
শনিবার ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর নির্বাচন ছিল। সেখানে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিদায়ী ভাইস চেয়্যারম্যান মিহিরকুমার চন্দ্র-সহ ১২ জন ডিরেক্টরের তালিকা তৈরি করে দেন। পাল্টা প্যানেলও দেওয়া হয়। তাতে বিদায়ী চেয়ারম্যান বীরেশ দেব-সহ ১২ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়। ৭৮ জন প্রতিনিধি ডিরেক্টর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগণনা শেষে দেখা যায় বীরেশ দেব-সহ বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর ১১ জনই জিতেছেন। দলের ‘অফিসিয়াল’ প্যানেলের মাত্র একজনই জিতেছেন বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান মিহিরকুমার চন্দ্র। ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএমের দখলে ছিল। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় ডিরেক্টর নির্বাচনে ভোটাভুটি হত না। একটিই প্যানেল দেওয়া হত। সেটিই সকলে সমর্থন করতেন। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর গত বছর অক্টোবর মাসে সিপিএমের দখলে থাকা বোর্ড ভাঙতে অনাস্থা আনা হয়। ১৫ অক্টোবরের অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয় সিপিএম। তাদের অভিযোগ ছিল, জোর করে তাঁদের সমর্থকদের আটকে রেখে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জিতেছে তৃণমূল। ওই সময়ই আলোচনার ভিত্তিতে তৃণমূল ডিরেক্টর ঠিক করে ফেলে। চেয়ারম্যান করা হয় বীরেশ দেব ও ভাইস চেয়ারম্যান করা মিহিরকুমার চন্দ্রকে। পরে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দু’পক্ষই জোরকদমে লড়াইয়ে নামে। শনিবার ভোটাভুটিতে হারতে হয় সবংয়ের ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রভাত মাইতি, গড়বেতা ৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাকেও। ব্যাঙ্কের সিইও সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শনিবার শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছে। ১২ জন ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন।”
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে একটি স্কুলের পরিচালন সমিতিতে শিক্ষানুরাগী সদস্য নির্বাচনেও। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মেদিনীপুর শহর সভাপতি তথা গভনর্র্মেন্ট প্লিডার (জিপি) সুকুমার পড়িয়া। কিন্তু তিনি একাধিক পদে থাকায় তাঁকে স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসাবে নির্বাচনে লড়াইয়ের বিরোধিতা করেছিলেন শহরের অন্য নেতা-কর্মীরা। যদিও জেলা নেতৃত্ব তাতে আমল দেননি বলে অভিযোগ। তখনই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী স্টেট গভনর্র্মেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের জেলা সম্পাদক সুব্রত সরকারকে প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত করেন। ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন ভোট দিয়েছিলেন। সুব্রতবাবু ৯টি ভোট পান। সুকুমারবাবু পান মাত্র ৩টি ভোট। |
|
|
|
|
|