|
|
|
|
‘মেজাজ হারিয়ে ব্যাটও ছুড়েছি’ |
জাতীয় কোচ হতে আপত্তি নেই: দ্রাবিড় |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
জন রাইট, গ্যারি কার্স্টেনদের উত্তরসুরি হতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়। রবিবার একটি অনুষ্ঠানে কর্নাটকি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের কোচ হতে পারেন তিনি। তবে পুরোটাই এখনও ভাবনার স্তরে। “ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। অনেক কিছু নিয়েই এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে কোচদের যে সব সার্টিফিকেট দরকার হয়, সেগুলো আমার নেই,” বলেছেন দ্রাবিড়। কোচ হিসেবে যে কিছু অভিজ্ঞতা তাঁর আছে, সেটা জানিয়ে আরও যোগ করেছেন, “এ বছর রাজস্থান রয়্যালসের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলাম। শুধু নেতৃত্ব করা নয়, কোচিং আর ট্যাকটিক্যাল ব্যাপারের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম। সেটা উপভোগ করেছি।”
ষোলো বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনে মাঠে এক বারও মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি দ্রাবিড়কে। তবে তাঁর খোলামেলা স্বীকারোক্তি, প্রচারমাধ্যমের আলোর বাইরে বেশ কয়েক বার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। “ড্রেসিংরুমে সবার চোখের আড়ালে বেশ কয়েক বার মেজাজ হারিয়েছি। কয়েক বার ব্যাটও ছুড়েছি। আমি চট করে রাগ করি না। কিন্তু মাঝে মাঝে একটা খারাপ শট খেলে বা আউট হয়ে যাওয়ার পরে নিজেকে নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়তাম।”
দ্রাবিড়-ভক্তদের মনে তাঁর বেশ কিছু ইনিংস দাগ কেটেছে, তবে দ্রাবিড়ের নিজস্ব পছন্দের অন্যতম ২০০৩ অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি। “ইনিংসের উপর নিয়ন্ত্রণ আর খেলার ধরনের বিচারে ওটা আমার অন্যতম সেরা ইনিংস,” বলেছেন দ্রাবিড়। ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে তাঁর একাধিক ম্যাচ জেতানো জুটি নিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, “অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এত বছর ধরে লক্ষ্মণের সঙ্গে ব্যাট করতে পারা, এতগুলো দুর্দান্ত জুটি গড়তে পারা অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। ভিভিএস খুব ঠান্ডা মাথার, দক্ষিণ ভারতীয় ভাল ছেলে।”
নিজের ক্রিকেটজীবনে ব্যাটিং অর্ডারে যেখানে নামতে বলা হয়েছে, নেমেছেন। প্রয়োজনে উইকেটকিপিং করেছেন। শর্ট লেগে ফিল্ডিংও বাদ যায়নি। যা নিয়ে দ্রাবিড়ের ব্যাখ্যা, “এটাই তো টিম স্পোর্টের সৌন্দর্য। স্কুলের হকি টিমে আমি খেলেছি। ফুটবলও খেলেছি। আমার কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল দলের মনোভাব চাঙ্গা রাখা।” |
|
|
|
|
|