ইউরোর সেরা


গোলকিপার ডিফেন্ডার
বুফোঁ (ইতালি): পির্লোর পানেনকা কিক নিয়ে যতই হইচই হোক, ইংল্যান্ড ম্যাচটায় টাইব্রেকারে বুঁফোর ‘সেভ’-টা না থাকলে ইতালি হয়তো ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছয় না। ইউরোয় শট বাঁচানোর দিক থেকে বুঁফো দু’নম্বরে। ১৮টা শট বাঁচিয়েছে। ওর থেকে শট বাঁচানোয় এগিয়ে শুধু ইংল্যান্ডের জো হার্ট। কিন্তু হার্ট টিমকে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি। দুই ব্যাক আর দুই সেন্ট্রাল ব্যাক এ ভাবে ডিফেন্ডারদের ভাগ করছি। দুই ব্যাক দেবুচি (ফ্রান্স, রাইট), কোয়েন্ত্রাও (পর্তুগাল, লেফ্ট): এই দু’জনকে বাছব ওদের অসামান্য ডিফেন্সিভ দক্ষতা এবং একই সঙ্গে ওভারল্যাপিংয়ের জন্য। দু’জনেই ইউরোতে দারুণ খেলেছে। প্রয়োজনে আক্রমণেও যেতে পারে।
সেন্ট্রাল ব্যাক
রামোস (স্পেন), পেপে (পর্তুগাল): এই দু’টো জায়গার জন্য তিন জনের মধ্যে লড়াই হবে এবং ইতালির বোনুচিকে বাইরে রাখতে গিয়ে আমাকে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিন জনেই দুর্দান্ত খেলেছে ইউরোয়। কিন্তু অলরাউন্ড দক্ষতার দিক থেকে রামোস এবং পেপে সামান্য হলেও এগিয়ে। যেমন ট্যাকলিং তেমন হেডিং, তেমন মার্কিং। যেমন উঁচু বলে দুর্ভেদ্য, তেমনই মাটিতে। উচ্চতাও ভাল। দুর্বলতা খোঁজা কঠিন।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার স্ট্রাইকার
পির্লো (ইতালি), স্যামি খেদিরা (জার্মানি): পির্লো অসাধারণ গেম-মেকার। ইতালির মাঝমাঠের নিউক্লিয়াস। দুর্দান্ত সব ‘মুভ’ তৈরি করেছে। খেদিরা তেমনই জার্মানির হয়ে দারুণ খেলেছে। সোয়াইনস্টেইগারকে যে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল তার আসল কারণ খেদিরার দুর্দান্ত ফর্ম। এই দু’জনের অ্যাডভ্যান্টেজ হচ্ছে, ওরা খেলা তৈরি করার পাশাপাশি নিজেরাও গোল করতে পারে। বালোতেলি (ইতালি): এ বারের ইউরোয় আমরা ভাল স্ট্রাইকার প্রায় দেখিইনি। কিন্তু বালোতোলি একাই যেন সেই দুঃখ মিটিয়ে দিয়েছে। একমাত্র স্ট্রাইকার বাছতে তাই দ্বিতীয় বার ভাবার কোনও জায়গা নেই।

ওজিল (জার্মানি): অনেকটা সাপোর্টিং স্ট্রাইকারের
মতো ভূমিকা। আর এই জায়গায় সবথেকে
ভয়ঙ্কর হচ্ছে ওজিল। টুর্নামেন্টে ২২টা ভয়ঙ্কর
পাস করেছে, সঙ্গে ৩১টা ক্রস।
সাইড মিডফিল্ডার

ইনিয়েস্তা (স্পেন):
রোনাল্ডো প্রায় একা পতুর্গালকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। সবথেকে বেশি গোলে শট
নিয়েছে ওই। রোনাল্ডোকে ছাড়া এ বারের ইউরোর সেরা এগারো ভাবাই যায় না। স্পেনের হয়ে তেমনই বিরাট
অবদান ইনিয়েস্তার। দারুণ দারুণ সব সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আবার মিডফিল্ডার হয়েও ইনিয়েস্তার গোলে শটের
সংখ্যা ১২। প্রয়োজনে নেমে এসে রক্ষণও সামলাতে পারে। দেবুচি ওভারল্যাপে গেলে ইনিয়েস্তা নেমে আসতে পারবে।
কোচ

দেল বস্কি (স্পেন):
পর-পর দু’টো বড় টুর্নামেন্ট জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে যে কোচ তাকে সেরা
একাদশের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ভাবার কী আছে? তা-ও আবার কোন দু’টো টুর্নামেন্ট? না, বিশ্বকাপ
এবং ইউরো। লো-কে হারিয়ে দেল বস্কি-ই এই টিমের কোচ।
আমার সেরা একাদশ এক ঝলকে: বুঁফো, দেবুচি, কোয়েন্ত্রাও, রামোস, পেপে,
পির্লো, খেদিরা, রোনাল্ডো, ইনিয়েস্তা, ওজিল এবং বালোতেলি।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.