|
|
|
|
কর্মসংস্থান নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ রাজ্য সম্পাদকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বেকারদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ভাঁওতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রবিবার খড়্গপুরে এসে এমনই অভিযোগ করেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এক বছরে না কি ৩ লক্ষ চাকরি হয়ে গিয়েছে। আমরা বেশি কিছু করতে বলছি না। শুধু কোন দফতরে কত জন চাকরি পেয়েছেন, কাগজে তার একটা বিজ্ঞাপন দিতে বলছি। আমরা আপনাকে (মুখ্যমন্ত্রীকে) ফুলের মালা দেব।” রাজ্য সম্পাদকের মতে, চাকরি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “এই সময়ের মধ্যে চাকরি হয়নি যে তা নয়। কিন্তু, কারা চাকরি পেয়েছেন? যাঁরা চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বাছাই করা কয়েকজনকে ফের নিয়োগ করা হয়েছে।” |
 |
ডিওয়াইএফের খড়্গপুর ১ জোনাল সম্মেলনে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
ডিওয়াইএফের দু’টি জোনাল কমিটির সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে আসেন আভাসবাবু। সকালে রোহিণীতে সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্মেলন হয়। বিকেলে মহেশপুরে খড়্গপুর গ্রামীণ ১ নম্বর জোনাল কমিটির সম্মেলন হয়। সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদক বলেন, “আমরা সবাইকে কাজ দেওয়ার কথা বলি। শুধু আমাদের কাজ দেওয়ার কথা বলি না। কেউ ডিওয়াইএফ করতে পারেন, কেউ যুব-তৃণমূল করতে পারেন, কেউ যুব কংগ্রেস করতে পারেন। খিদের জ্বালা সকলেরই এক।” সকলকে কাজ দেওয়ার দাবিতে আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলন হবে জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, “নির্বাচনে বামপন্থীদের জেতা বা হারার উপর ডিওয়াইএফের ঝান্ডা উড়বে কি উড়বে না, সেটা নির্ভর করে না। বামপন্থীরা জিতলে আন্দোলনে আরও জোর আসবে। না হলে আক্রমণ বাড়বে।”
সিঙ্গুরের জমিতে কারখানা করতে হবে বলেও এ দিন দাবি করেন রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরের জমিতে কারখানা হোক। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক দেখলে হবে না। যাঁরা জমি দেননি, তাঁরাও যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমন যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা মনে করি, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ায় রাজ্যের ক্ষতি হয়েছে।” এই দাবিতে আন্দোলনেও নামতে চলেছে ডিওয়াইএফআই। আভাসবাবু বলেন, “আন্দোলন তো হবেই। কিন্তু, কী ভাবে হবে এখনই বলছি না। আগে পরিস্থিতি দেখে নিই। আলোচনা করেই পদক্ষেপ করা হবে।” রাজ্য সরকার সঠিক পদক্ষেপ না করার জন্যই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করে তাঁর বক্তব্য, “এই সরকার ফঁড়েদের সরকার। জিনিসপত্রের দাম কমাতে হলে ফঁড়ে-রাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। শুধু বাজারে ঘুরলে হবে না।” সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক কমল পলমল। তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে তৃণমূল কত প্রতিশ্রুতি দিল। তখনই আমরা বলেছিলাম, আমড়া গাছে ল্যাংড়া আম হয় না। বেকারদের চাকরির দাবিতে আন্দোলন চলবে। তাতে রক্ত দিতেও আমরা প্রস্তুত।”
|
|
|
 |
|
|