বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আরান্ডি ২ পঞ্চায়েত এলাকায় বছর খানেক ধরেই একের পর এক গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের তরফে তৃণমূল নেতা শেখ সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে বিডিও ও বন দফতরের কাছে বিভিন্ন সময়ে গাছ কাটায় মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পুরা এলাকায় ৭টি মূল্যবান গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এ বার বিডিও-র কাছে ‘বিহিত’ চেয়ে অভিযোগ করেছে তৃণমূলেরই একাংশ।
আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই বলেন, “বেআইনি ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। সমস্ত অভিযোগ বন দফতরের চাঁদুর শাখায় পাঠিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” বন দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ আছে। দফতরের আরামবাগ রেঞ্জ অফিসার চন্দ্রশেখর মাহাতো বলেন, “আমরা তদন্তে গিয়েছি। কিন্তু কাটা গাছের গুঁড়ি দেখতে পাচ্ছি না। ঘটনাস্থলে গিয়ে সাক্ষীও পাওয়া যাচ্ছে না।” যদিও পঞ্চায়েতের প্রধান সুলেখা পাল বলেন, “বন দফতর তদন্তই করছে না। কিছু জানতেও চাননি ওঁরা।” একই অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসুদেব মালিকেরও। তিনি বলেন, “গাছ কাটার অভিযোগ জানিয়ে আমি নিজেই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সমস্ত বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “দলে দুর্বৃত্তায়ন কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না।”
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সোহরাব পুরা হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক। তিনি বলেন, “পুরা হাইস্কুলের দরজা-জানলার পাল্লা তৈরির জন্য ঝড়ে হেলে যাওয়া কিংবা ভেঙে পড়া পাঁচটি গাছ কাটতে বলেছি। কাটা গাছ স্কুল চত্বরেই রাখা হয়েছে। সিপিএম তাদের জমানায় প্রায় কোটি টাকার গাছ লোপাট করে সেই টাকা নিজেরা খেয়েছে। আমি স্কুলের উন্নয়নের কথা ভেবে গাছ কাটার দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে যাইনি। পদ্ধতিগত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেব।” বেআইনি ভাবে কাটা গাছ স্কুলচত্বরে রাখা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রধান শিক্ষক আনন্দমোহন কুণ্ডু। |