ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীর আঁতুড়ঘর ‘সারান্ডাকে’ উন্নয়নের অস্ত্র দিয়েই ঠান্ডা করে সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। সারন্ডায় গিয়ে গরিব আদিবাসী-সহ গ্রামের বাসিন্দাদের নূন্যতম চাহিদা পূরণের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের সূচনা জয়রাম করেছিলেন অনেক দিন আগেই। তার পর থেকে এক রকম নিয়ম করেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রায়ই সারান্ডায় আসছেন জয়রাম। আজও তিনি একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে হাজির হন সারান্ডার মনোহরপুর ব্লকে।
এ দিন সারান্ডায় সরকারি আমলাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জয়রামের সঙ্গী ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মনোহরপুর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গুরুচরণ নায়ক। জাতীয় রাজনীতিতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি। মনোহরপুরের বিজেপি বিধায়ক কিন্তু সারন্ডা-উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত।
আজ মনোহরপুরের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন জয়রাম। কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার ১১২ কোটি টাকায় তৈরি হবে সারান্ডার মনোহরপুরের ছ’টি গ্রামের দেড়শো কিলোমিটার পিচের রাস্তা। এতে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গুরুচরণবাবু জানান, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে সারন্ডার মনোহরপুর ব্লকের চিড়িয়া, দিঘা, লায়লোর, ছোটনাগরা, মাগরান্ডা এবং সামটা গ্রামপঞ্চায়েতে। তৈরি হবে ছ’টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তার আগে এ দিন সারান্ডার ডোমলাই গ্রামে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে নব নির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধন করেন জয়রাম। গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সৌরশক্তিতে জ্বলা লণ্ঠন, সাইকেল এবং রেডিও সেট। এ দিন ইন্দিরা আবাস যোজনায় সারান্ডায় আরও হাজার ছয়েক গ্রামবাসীর জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, সারন্ডায় উন্নয়নের কাজে আরও গতি বাড়ানোর জন্য এদিনও রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। এমনকী যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে যে তিনি মোটেই সন্তুষ্ট নন, ইঙ্গিতে এ দিনও তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। |