গৌড়াকে সরাতে সময় বেঁধে দিল বিক্ষুব্ধ শিবির
র্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদলের জন্য ৫ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা দিলেন ইয়েদুরাপ্পা-ঘনিষ্ঠ বিক্ষুব্ধ বিধায়কেরা।
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াকে সরানোর দাবিতে গত শুক্রবার ইস্তফা দিয়েছিলেন কর্নাটক মন্ত্রিসভার ৯ মন্ত্রী। আজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ফের চাপ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবিকে সমর্থন জানান রাজ্যের ৫১ জন বিজেপি বিধায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ ওই বিধায়কেরা অবিলম্বে গৌড়াকে সরিয়ে জগদীশ সেত্তারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দাবি জানিয়েছেন। ইয়েদুরাপ্পা-ঘনিষ্ঠ বিধায়ক সঞ্জয় পাটিলের বক্তব্য, “আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে ইয়েদুরাপ্পা ইস্তফা দিতে বললে, আমরা তা করতে বাধ্য হব। কেন না কর্নাটকে বিজেপির আত্মা হলেন ইয়েদুরাপ্পাই।” অঙ্কের হিসেবে, ইয়েদুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরা ইস্তফা দিলে সেখানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে বিজেপি সরকার। দলের আশঙ্কা, এর ফলে দক্ষিণ ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকার ফেলে দেবে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচার ও কৌশল নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই ‘কর্নাটক সঙ্কট’ মেটাতে মঙ্গলবার সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ইয়েদুরাপ্পা শবির ওই রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত ধর্মেন্দ্র প্রধানকে জানিয়েছেন, তাঁরা আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক দল। রাজনৈতিক সূত্র বলছে, বিজেপি শিবির ইয়েদুরাপ্পার দাবি মেনে নেতৃত্ব পরিবর্তনে রাজি ছিল। কিন্তু ইয়েদুরাপ্পা দলের উপর যে ভাবে চাপ বাড়িয়ে নিজের দাবি আদায় করার রাস্তায় হাঁটছেন, তা ভাল ভাবে নিচ্ছেন না গডকড়ী ঘনিষ্ঠ শিবির। সরকার বাঁচাতে গৌড়াকে সরাতে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যেতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে সঙ্কট কাটার আশা নেই। কারণ, গৌড়া অনুগামী বিধায়করাও হুমকি দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বদল হলে তাঁরাও ইস্তফা দেবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ তাই মনে করেন এক বছর আগে, এখনই ভোটে চলে যাওয়াই একমাত্র সমাধান। যদিও তাতে আপত্তি রয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল দিল্লি আসছেন সদানন্দ গৌড়া। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে তাঁর থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও আত্মবিশ্বাসী গৌড়া আজ বলেন, “এর আগেও এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং তা মিটেও গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি আশাবাদী, এ বারও সমস্যা মিটে যাবে।” সমাধান সূত্র খুঁজতে গত শনিবারই বেঙ্গালুরু উড়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা হয়েছে তাঁর। বিজেপি শিবির জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরবেন ধর্মেন্দ্র। তার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.