শনিবার সকাল রবিবার সকাল পর্যন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাগুলি ঘটেছে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপলাইনে, বোলপুর-সাঁইথিয়ার মাঝে। রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সতাল ৬টা নাগাদ সাঁইথিয়া পূর্ব কেবিনের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক দরজার কাছে ছিলেন। কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওই দিনই সন্ধ্যায় লাভপুরের ভালাস গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী স্বপন চক্রবর্তী (৪৮) নামে ওই ব্যক্তি আপ হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে করে আমোদপুর স্টেশনে নামেন। বাস ধরার জন্য রেললাইন পার হচ্ছিলেন। সেই সময় ডাউন সিউড়ি-হাওড়া এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, রবিবার সকালে বোলপুর ও প্রান্তিক স্টেশনের মাঝ থেকে হিমাদ্রী দাস (২৪) নামে বোলপুরের রবীন্দ্রপল্লির ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এ দিন সকালে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে জখম হন সুনীল দে নামে মুর্শিদাবাদের কালীকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলবাবু ও তাঁর স্ত্রী বাইরে যাওয়ার জন্য সাঁইথিয়ায় ট্রেন ধরতে আসেন। তিনি ট্রেনে উঠে গেলেও তাঁর স্ত্রী উঠতে পারেননি। তখন সুনীলবাবু চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে জখম হন।
|
সাঁইথিয়ার বাগডোলায় শনিবার হুল দিবসের দিন ২৪৯ জন আদিবাসীকে রেশনকার্ড দেওয়া হয়। সাঁইথিয়ার খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে জেলা খাদ্য নিয়ামক দফতরে রেশন কার্ড নেই তাঁদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে খোঁজ খবর নিয়ে শনিবার দেড়িয়াপুর অঞ্চলের রায়হাট, বৈদ্যপুর, দেড়িয়াপুর-সহ কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়। সুকল মুর্মু, বুদনি মুর্মু, দেবান মাড্ডি, অনুশিরা মুর্মুরা বলেন, “এত দিন আমাদের পরিবারের কারও রেশনকার্ড ছিল না। ফলে অনেক সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছিল।” দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ বাগদি আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা যাতে বিপিএল কার্ড পান তারও ব্যবস্থা করা হবে। এ দিকে, গাঁওতা নেতা সুনীল সোরেনের অভিযোগ, “রাজ্যে প্রচুর ভুয়ো রেশনকার্ড আছে। আর যাঁদের দরকার তাঁদেরই নেই। নেইয়ের তালিকায় সব থেকে বেশি রয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন।”
|
আগুন লেগে ভস্মীভূত হল একটি মাটির বাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও দু’টি বাড়ি। শনিবার রাত ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগরের ছিপপাড়ায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কিছুই বাঁচানো যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগরের ওই পাড়ায় মূলত ছিপ তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি পরিবার বাস করেন। শনিবার রাতে শেখ গোলামের বাড়ি জ্বলতে দেখে প্রতিবেশী এক মহিলা সকলকে খবর দেন। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে স্পষ্ট নয়।
|
পাথর বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হল। রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে মহম্মদবাজার ঢাল এলাকায়। মৃতের নাম রঞ্জিত সিংহ (৪০)। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। |