তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আগুন নেভেনি জামুড়িয়ার অবৈধ কয়লা খনিতে। হদিস মেলেনি জ্বলন্ত গহ্বরে পড়ে যাওয়া ইসিএলের নিরাপত্তাকর্মীরও। আগুন লাগা এলাকা শুক্রবার তার দিয়ে ঘিরেছে ইসিএল। খনিকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এ দিন নিখোঁজ নিরাপত্তাকর্মীর ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ইসিএল।
জামুড়িয়ায় ইসিএলের কুনস্তরিয়া এরিয়ায় বেলবাঁধ খনি লাগোয়া একটি অবৈধ খাদানে আগুন লাগে মঙ্গলবার বিকেলে। তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি ইটভাটায়। বালি ভরাট করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। |
বুধবার রাতে সেই কাজ চলাকালীন ধস নামলে ইটভাটার গহ্বরে পড়ে যান নিরাপত্তাকর্মী সুভাষ গোর। তাঁর পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিতে কুনস্তরিয়া এরিয়ার সাতটি খনিতে কাজ বন্ধ করে এ দিন বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। তার পরেই ইসিএল কর্তৃপক্ষ নিখোঁজের বড় ছেলে মুন্নাকে আপাতত চাকরিতে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। ওই পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানান ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়।
বৃহস্পতিবারই উদ্ধারকারী দল জানিয়েছিল, ইটভাটার আশপাশের মাটি না কাটলে নিখোঁজের হদিস পাওয়া যাবে না। নীলাদ্রিবাবু এ দিন জানান, এই পরিস্থিতিতে উদ্ধার করতে গেলে ইটভাটায় ফের ধস নামতে পারে। |
তিনি বলেন, “ঠিক হয়েছে, অবৈধ খনিগর্ভে নাইট্রোজেন ফোম এবং সোডিয়াম সিলিকেট পাঠানো হবে। তাতে ভিতরে অক্সিজেনের জোগান কমে আগুন নিভবে ও তাপশোষণ হবে। এ ভাবে এলাকা ঠান্ডা করার পরে মাটি ভরাটের কাজ হবে। তার পরে ইটভাটার পাশের মাটি কেটে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে খোঁজা হবে।” আগুন পুরোপুরি নিভতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান নীলাদ্রিবাবু।
|