তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বধূকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই বধূর স্বামী সাহেব সরকার, শাশুড়ি রিনা সরকার ও শ্বশুর ধীরেন সরকারকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার কাটোয়া থানার সাহাপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম চঞ্চলা সরকার (২০)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ মাস আগে নদিয়ার চাকদহ থানার তুমলিয়া গ্রামের চঞ্চলার সঙ্গে সাহেবের বিয়ে হয়। বধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন চঞ্চলাকে পণের জন্য নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি চঞ্চলার কাছে তারা ৩০ হাজার টাকা দাবি করে বলেও অভিযোগ। চঞ্চলার বাড়ির অভিযোগ, তা দিতে অস্বীকার করাতেই এ দিন তাকে মারধর করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। থানায় দাঁড়িয়ে ধৃত সাহেবের জেঠামশাই বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, “আমাদের ধারণা চঞ্চলাকে খুনই করা হয়েছে।” এ দিন সন্ধ্যায় কাটোয়া থানায় দাঁড়িয়ে গ্রামবাসী আনন্দ বিশ্বাস, রতন বালু-রা বলেন, “ওই তিনজনকে পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে এই আশঙ্কায় আমরা থানায় এসেছিলাম। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে বিক্ষোভ দেখালে অভিযোগ নেওয়া হয়।” কাটোয়া থানার ওসি সনৎ দাস অবশ্য বলেন, “আমার কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে যা বলার এসডিপিও বলবেন।” কাটোয়ার এসডিপিও ধ্রুব দাস অবশ্য বলেন, “দুপুরবেলাতেই অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তিনজনকে ধরাও হয়েছে। তার পরেও দেহ নিয়ে গ্রামবাসীরা কেন থানায় গিয়েছিলেন, খোঁজ নিচ্ছি।”
|
মহিলার দেহ উদ্ধার, ধৃত স্বামী-দেওর |
বাড়ি থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্বামী ও দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ফরিদপুরের (লাউদোহা) লবণাপাড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পূর্ণিমা মজুমদার (৪৫)। পূর্ণিমাদেবীর বুকে ও গলায় কোপানোর দাগ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ সেরে ঘরে শুতে যান পূর্ণিমাদেবী ও তাঁর স্বামী রণজিৎবাবু। তবে দরজা বন্ধ করেননি তাঁরা। বাইরে দাওয়ায় শুয়ে ছিলেন দেওর সমীরবাবু। পারিবারিক সূত্রে যানা গিয়েছে সমীরবাবু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। ভোরবেলায় পড়শিরা দেখেন, পূর্ণিমাদেবীর দু’পা ধরে তাঁর দেহ টেনে বাইরে আনছেন সমীরবাবু। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয় সমীরবাবু পূর্ণিমাদেবীকে খুন করে দেহ গায়েব করার চেষ্টা করছে। সকলেক চিৎকারে বেশ ভিড় জমে যায়। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন রণজিৎবাবুও। স্ত্রীর দেহ দেখে তিনি বিহ্বল হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, পুর্ণিমাদেবীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তাহলে পাশে শুয়ে রণজিৎবাবু তা জানতে পারলেন না কেন? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সমীর ও রণজিৎবাবু দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রণজিৎবাবুকে বেহুঁশ করে দেওয়ার জন্য সমীর কিছু ব্যবহার করেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
অনলাইন আবেদনে মিলবে শংসাপত্র |
তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনুগ্রসর শ্রেণির শংসাপত্র পাওয়ার জন্য এখন থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন দুর্গাপুর মহকুমার বাসিন্দারা। শুক্রবার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা। তিনি জানান, ব্লক বা পঞ্চায়েত দফতর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবেন। এলাকায় গিয়ে পূরণ করা আবেদনপত্র পরীক্ষা করে অনলাইনেই রিপোর্ট জানিয়ে দেবেন ব্লক স্তরের পরিদর্শক। শংসাপত্র তৈরি হয়ে গেলে ই মেল ও এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। |