রবিবার তাঁদের প্রতিপক্ষ ২০০৮ ইউরো চ্যাম্পিয়নের পাশাপাশি ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নও। তবু ইউরো ফাইনালের চব্বিশ ঘণ্টা আগে সিজার প্রান্দেলি জানিয়ে দিলেন, স্পেনকে মোটেও ভয় করছে না ইতালি। বরং জাভি-ইনিয়েস্তাদের দুর্বলতা খুঁটিয়ে দেখতে ব্যস্ত তাঁর দল। পাশাপাশি প্রান্দেলির বাস্তববাদী মন্তব্য, ফাইনালে স্পেনই ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। “আমাদের প্রথম ম্যাচে যখন স্পেনের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম তার চেয়ে আমরা এখন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। ফাইনালের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মাত্র একটা দিন পেলাম। কিন্তু স্পেনের দুর্বলতা খোঁজার চেষ্টা করছি। ওরা ইউরোপীয় এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আমরা এখন যথেষ্ট পরিণত। ওদের ভয় পাওয়া উচিত নয়,” বলছেন ইতালীয় কোচ প্রান্দেলি। সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে জোড়া গোলের নায়ক মারিও বালোতেলিকে নিয়ে স্বভাবতই উচ্ছসিত তিনি। “আমি আদ্রিয়ানো, কাসানো, বালোতেলিদের কোচিং করিয়েছি। ওদের সামলানো কঠিন, কিন্তু যথেষ্ট উত্তেজক। যারা চ্যাম্পিয়ন না হয়েও নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবে তাদের চেয়ে দিনের শেষে বালোতেলিরা বেশি বিশ্বাসযোগ্য।”
বালোতেলি নিজে চান ‘স্পেশ্যাল’ এই মরসুমের শেষটাও যেন দুর্দান্ত হয়। “এই বছরটা আমার জন্য দারুণ ছিল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে ইপিএল জিতেছি, তাই ইউরো জেতার উপর আমার মরসুম ভাল হওয়া নির্ভর করে না। তবে ইউরো জিততে পারলে সেটা অসাধারণ হবে,” বলে ম্যান সিটির স্ট্রাইকার যোগ করেছেন, “আমরা না জিতলে বাকি আনন্দগুলো নষ্ট হবে না। যদি আমরা জিতি আর আমি গোল করি, সেটা দুর্দান্ত হবে। আমি গোল না করলেও যদি দল জেতে, আমার খুব ভাল লাগবে।” ফাইনাল নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বালোতেলিও।
|
|
|
লা রোখা |
আজুরি |
বিশ্বকাপ |
১টি (’১০) |
৪টি (’৩৪, ’৩৮, ’৮২, ’০৬) |
ইউরো |
২টি (’৬৪, ’০৮) |
১টি (’৬৮) |
অলিম্পিক সোনা |
১টি (’৯২ বার্সেলোনা) |
১টি (’৩৬ বার্লিন) |
বিশেষ কৃতিত্ব |
টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার
বিশ্বরেকর্ড (ব্রাজিলের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে)
(২০০৬-০৯) ১৫টি ম্যাচ জেতার বিশ্বরেকর্ড |
১৯৮৮ থেকে আজ পর্যন্ত ইউরো
এবং বিশ্বকাপ
মিলে নির্ধারিত সময়ে
ইতালি
ম্যাচ হেরেছে মাত্র ৫টি |
|