স্ত্রীকে মারধর এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষকের নাম দীপঙ্কর হালদার। বাড়ি বারুইপুর দত্তপাড়া-শ্রীনিকেতন পল্লীতে। তিনি যাদবপুরে ফুড টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করেন। শনিবার দীপঙ্করবাবুর স্ত্রী বারুইপুর থানায় তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি মিনতি হালদারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এ দিন রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে বারুইপুর স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে এক বিবাহিতা তরুণী আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় যুবকরা তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ওই তরুণী নিজেকে দীপঙ্করবাবুর স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তরুণীর অবস্থা ভাল না থাকায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় সুভাষগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে ক্যানিংয়ে তরুণীর বাপের বাড়িতে যোগাযোগ করেন ওই যুবকেরা।
ওই তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে দীপঙ্করবাবুর সঙ্গে তাঁদের মেয়ের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শাশুড়ি, তরুণীর উপরে অত্যাচার করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিনতিদেবী ও দীপঙ্করবাবু তাঁকে বেদম মারধর করেন। গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হয় বলেও ওই তরুণীর অভিযোগ। তরুণী জানান, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।” শনিবার অভিযুক্তের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, দরজায় তালা। দীপঙ্করবাবু ও মিনতিদেবীর মোবাইলও বন্ধ ছিল। |