পুরসভার ভূমিকায় ক্ষোভ
রাস্তা আটকে স্কুলের গেট শিলিগুড়িতে
পুর-বিধি ভেঙে প্রতিবেশীর বাড়ির যাতায়াতের রাস্তায় গেট বসিয়ে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির বিপিন পাল সরণির ঘটনা। এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ ঘোষের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাঁরা জবরদস্তি গেট বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। গেটটি প্রায়শই তালা দিয়ে রাখায় যাতায়াতে চরম সমস্যা হয় বলে পরিতোষবাবুর দাবি। তিনি জানান, প্রায় চার ফুট প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে এলাকার প্রধান রাস্তা আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে বাড়ি থেকে সরাসরি ওঠা যেত। স্কুল কর্তৃপক্ষের গা-জোয়ারিতে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন পরিতোষবাবু। পুলিশ-প্রশাসনেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পরিতোষবাবু যে এলাকার বাসিন্দা পুরসভার ওই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁকেও পরিতোষবাবু বিষয়টি জানিয়েছেন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত অভিযোগের বিষয়টি শুনে সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। পুরসভার তরফে সমস্যার বিষয়টি পূর্ত দফতরের দেখার কথা। মাস খানেক ধরে তারা দেখছি দেখব বললেও কাজ হয়নি। শিলিগুড়ি পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।” স্কুলভবনের মালিক জ্যোতিরঞ্জন চৌধুরীর দাবি, তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও পরিতোষবাবুর দিক থেকে সাড়া মেলেনি। তাঁর দাবি, “ওই রাস্তা ওঁরা ব্যবহার করেন না। তাই গেট বসানো হয়েছে। পরিতোষবাবুরা ব্যবহার রাস্তা খুলে দিতে আমাদের আপত্তি নেই।” পরিতোষবাবু জানান, ৪০ বছর ধরে তাঁরা ওই এলাকার বাসিন্দা। সহজে বড় রাস্তায় যেতে জন্য ২০০০ সালে লাগোয়া জমি কিনে নেন। সেখান থেকে ওই গলির রাস্তা এজেসি বসু রোডে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা যাবে বলে জমির মালিক জানিয়েছিলেন। দলিলেও তা উল্লেখ রয়েছে। লাগোয়া অংশ কিনে পরবর্তীতে বাড়ি করেন জ্যোতিরঞ্জনবাবুরা। গত এপ্রিলে সেখানে শিশুদের স্কুলও চালু করা হয়। পুরসভা থেকে নির্মাণ কাজের নকশা অনুমোদন করে স্কুল করা হচ্ছে শুনে আশঙ্কার কথা জানিয়ে গত সেপ্টেম্বরে পুর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগও করেছিলেন। পরিতোষবাবুর অভিযোগ, “বসবাসের এলাকায় এ ভাবে স্কুল চালানো নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই সরব হয়েছি। আমাদের অনুপস্থিতিতে গত ৪ জানুয়ারি গেটটি বসিয়ে তালা দেওয়া হয়। স্কুলের সময় খোলা থাকে গেটটি। অন্য সময় তালা দেওয়া থাকে। বারবার বলা হলেও কাজ হচ্ছে না। পুর আইন মেনে চলা কি সকলের উচিত নয়। নাকি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণে ছাড় দেওয়া হয়? আশা করি পুরসভা-প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.