বাড়ি থেকে ডেকে খুন বনগাঁয় |
এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার জয়ন্তীপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম মহম্মদ আলি (৪৫)। স্ত্রী জাহিদা সাতজনের বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলার পুলিশ সুপার চম্পক মণ্ডল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে চায়না মণ্ডল নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, না বলে খেত থেকে বেগুন তুলেছেন এই সন্দেহে বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কয়েকজন মহম্মদ আলির বাড়িতে চড়াও হয়। তাদের কাছে রামদা, ভোজালি ছিল। তারা বাড়ি থেকে মহম্মদকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এর পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মহম্মদকে বাড়ির সামনে ফেলে যায় অভিযুক্তেরা। জাহিদা পুলিশকে জানান, ওরা মারধর করে চলে যাওয়ার সময় হুমকি দেয়, ‘চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে’। তাই স্বামী মারাত্মক আহত হলেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকজন প্রতিবেশীর সাহায্যে স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
|
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে মাঝনদীতে ভস্মীভূত হল একটি ভুটভুটি। ভুটভুটিতে জনা পাঁচেক যাত্রী থাকলেও কেউ হতাহত হননি। সকলেই পাড়ে উঠে পড়েন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার সজনেখালি সংলগ্ন গোমর নদীতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ভুটভুটিটি সজনেখালি থেকে পাখিরালার দিকে আসছিল। দয়াপুর ঘাটের কাছে হঠাৎই সেটিতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ধরে যায়। ভুটভুটি একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থার। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার পণ্ডিত বলেন, “ভুটভুটিতে কোনও পর্যটক ছিলেন না। যাঁরা ছিলেন তাঁরা সকলেই রক্ষা পেয়েছেন। কেউ হতাহত হননি। কী ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
বছর সাতেক আগে বজবজ পুরসভার ভোটের দিন এক সিপিএম কর্মীকে খুনের অভিযোগের মামলায় ১২ জন অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার বেকসুর খালাস করলেন আলিপুরের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শঙ্করমণি ত্রিপাঠী। নিহত তরুণ কোটাল পেশায় অটোচালক ছিলেন। সাক্ষ্যে প্রকাশ পায়, ২০০৫ সালের ২২ মে দুপুরে তরুণ কোটাল তাঁর অটোয় ভোটার নিয়ে বুথে যাতায়াত করলে গণ্ডগোলের সূচনা হয়। এই ঘটনা ঘিরে যথেচ্ছ বোমাবাজি ও গুলি ছোড়া হয়। জখম হন তরুণ। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের আইনজীবী মলয় চৌধুরী জানান, ঘটনার সময়ে ধৃত শেখ নাজিমুদ্দিন তৃণমূলের এক জন কাউন্সিলর ছিলেন। অপর ধৃত শেখ লুৎফর বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। ধৃতদের মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছিল বলে তাঁর অভিযোগ। |