জল গড়াল আদালত পর্যন্ত
জরিমানা কেরোসিন ডিলারকে
ভুয়ো রেশন কার্ড দেখিয়ে বরাদ্দের অতিরিক্ত কেরোসিন তুলে কালোবাজারি করার অভিযোগে এক কেরোসিন তেল ডিলারের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকড়া ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযুক্ত রেশন ডিলার অবশ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
খাদ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ডিলারের নাম শেখ মহম্মদ আসলাম। বাঁকড়া ২ পঞ্চায়েত এলাকায় তিনি সরকার নির্ধারিত মূল্যে কেরোসিন তেল বিক্রির দায়িত্বে আছেন। এই এলাকার বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত অভিযোগে জানান, ওই ডিলার সব গ্রাহককে সমান ভাবে তেল বিক্রি করেন না। অনেক সময়ে তাঁর কাছে কেরোসিন তেল থাকে না। অথচ একই সময়ে অনেক বেশি দামে তাঁর কাছে কেরোসিন তেল পাওয়া যায়।
অভিযোগটি পেয়ে জেলাশাসক জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর আবার ডোমজুড় ব্লক খাদ্য ও সরবরাহ দফতরে একটি কমিটি গড়ে অভিযোগটির তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো প্রায় এক মাস ধরে তদন্ত চালায় ব্লক খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। এমনকী, একমাস ধরে ওই ডিলারের কাছে হাজির থেকে কেরোসিন তেল কেনা-বেচার প্রকৃত হাল খতিয়ে দেখে কমিটি। অভিযোগের প্রাথমিক ‘প্রমাণ’ পাওয়ার পরে হাওড়া সদর মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক দেবমাল্য বসু তদন্তে নামেন।
এ বার জানা যায়, ওই ডিলারের কাছে রয়েছে প্রায় আটশো রেশন কার্ড। অথচ তিনি খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কাছে ভুয়ো রেজিস্ট্রার দাখিল করে প্রায় সাড়ে ১৭০০ ইউনিট বেশি কেরোসিন তেল তুলতেন। এই বাড়তি তেল তিনি কালোবাজারি করতেন। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রক শ্বাশ্বতী ঘোষ বলেন, “ওই ডিলারের বেআইনি কাজের ফলে সরকারের বহু টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষও বঞ্চিত হয়েছেন। তার পরেই ওই ডিলারকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।”
অভিযুক্ত ডিলার জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের নির্দেশের বিরুদ্ধে জেলাশাসককের কাছে ‘সুবিচার’ চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু জেলাশাসক উভয়পক্ষের আবেদন শুনে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের নির্দেশটিই বহাল রাখেন। এরপরেই গত ২৯ মে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে মহম্মদ আসলামকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, জরিমানা না দিলে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
তবে জরিমানা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ওই ডিলারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি খাদ্য ও সরবরাহ দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের একজন ডিলারের বিরুদ্ধেও কয়েক মাস আগে একই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ওই নির্দেশ কার্যকর করার উপরে আদালতের স্থগিতাদেশ আনেন। শেখ মহম্মদ আসলামও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রক বলেন, “আমরা স্থগিতাদেশ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে যাচ্ছি।” অন্য দিকে, শেখ মহম্মদ আসলাম বলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই কোনও মন্তব্য করব না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.