|
|
|
|
অলিম্পিকে যাচ্ছেন লি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মধুরেণ সমাপয়েৎ। এক পক্ষকাল ধরে চলা ভারতীয় খেলাধুলোরই ইতিহাসে বৃহত্তম সঙ্কট পেরিয়ে দেশের টেনিসে বর্তমানে কৃষ্ণপক্ষ কেটে গিয়ে ফের শুক্লপক্ষ। অন্ধকার দূর হয়ে আলো। কারণ, অবশেষে লিয়েন্ডার পেজ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি অলিম্পিকে যাবেন। এআইটিএ-র বেছে দেওয়া পার্টনার নিয়ে খেলতেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে গোটা বিতর্কে তিনি হতাশ। ভগ্নহৃদয়। লন্ডনে সংবাদ সংস্থাকে লিয়েন্ডার বলেছেন, “আমি খেলোয়াড়। খেলাই আমার কাজ। সেটাই করি। খেলা নিয়ে রাজনীতি করি না।” তাঁর বিরোধী পক্ষকে একহাত নিয়ে বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমি দেখছি, খেলাধুলোর ভেতরে অন্য খেলা চলছে। যেটায় আমি খুব হতাশ। মন ভারাক্রান্ত আমার। তা সত্ত্বেও আমি লন্ডনে আমার ষষ্ঠ অলিম্পিক খেলার দিকে তাকিয়ে আছি। বাইশ বছর ধরে আমি আমার দেশের জাতীয় পতাকা আর দেশের জনগণের জন্য খেলে এসেছি। লন্ডন অলিম্পিকেও তার অন্যথা হবে না।”
লিয়েন্ডার যে শেষমেশ অলিম্পিকে যাবেন সেই খবর আনন্দবাজারকে দু’দিন আগে বলেছিলেন তাঁর বাবা ভেস পেজ। তা হলে বিষ্ণু বর্ধনের মতো ২০৭ নম্বর র্যাঙ্কিং জুনিয়রকে নিয়ে অলিম্পিকে ডাবলসে খেলবেন না, প্রয়োজনে অলিম্পিক বয়কট করবেন কেন প্রথমে বলেছিলেন লিয়েন্ডার? ডাক্তার পেজ জবাবে এ দিন বললেন, “ওটা গোটা বিতর্কে ওর তাৎক্ষণিক আবেগের প্রতিক্রিয়া। লিয়েন্ডার আবেগপ্রবণ ছেলে। যেটাই করে হৃদয় দিয়ে করে। ও দেশের হয়ে অলিম্পিকে নামবে না এটা হতে পারে না। উত্তেজনা কমার পর ও নিজে সেটা বুঝেছে।” ডাবলস পার্টনার বিষ্ণুও এ দিন ফোনে বললেন, “আজই ডাক্তার পেজ আঙ্কল আমায় ফোন করেছিলেন। এ বার আমি লিয়েন্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করব। উইম্বলডন শেষ হলেই আমি লন্ডনে যাব। তার পর দু’জনে মিলে ওখানে প্র্যাক্টিস করব।” আর লিয়েন্ডার বলছেন, “বিষ্ণুর ঘাসের কোর্টে খেলার জুতো আছে কি না তা-ও জানি না। ও কোনও দিন উইম্বলডনে আসেইনি। আমি বুঝতে পারছি প্রচুর সমস্যা আছে। কিন্তু অভিজ্ঞ পেশাদার হিসেবে আমাকে সব সমস্যা মেটাতে হবে। তবে বিষ্ণু খুব ভাল ছেলে। ওর সঙ্গে খেলে আনন্দ পাব।”
মহেশ-বোপান্না-সানিয়া, তিন জন যতই তাঁর দিকে বোমাবর্ষণ করুন লিয়েন্ডারকে একটা বিষয়ে প্রংশসা করতেই হবে যে, তিনি পালটা কোনও বিষোদ্গার করেননি এক বারের জন্যও। এ দিনও তাঁকে সানিয়ার আক্রমণাত্মক বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করলে লিয়েন্ডার সরাসরি কোনও মন্তব্য না করে শুধু বলেন, “প্রত্যেক অলিম্পিকেই কিছু বোকা-বোকা ঘটনা ঘটে।” সানিয়া-মাটেকের ইন্দো-মার্কিন জুড়ি এ দিনই উইম্বলডনে মেয়েদের ডাবলসে তৃতীয় রাউন্ডে ওঠেন ফরাসি টিম গাকন-ম্লাদেনোভিচকে ৬-৩, ৬-২ হারিয়ে। লিয়েন্ডার যেন সব প্লেয়ারের মুখপাত্র হয়ে বলেছেন, “আমি বা আমরা যা পারফরম্যান্স করেছি তার পিছনে কী পরিমাণ পরিশ্রম আছে সেটা নিশ্চয়ই সবাই জানে। লোকে সেটাকে শ্রদ্ধা করুক বা না করুক আমার তাতে কিছু যায়-আসে না। তবে আমি ভাগ্যবান, সব সময় মানুষের শ্রদ্ধা পেয়েছি।” |
|
|
|
|
|