|
|
|
|
বোকার মতো হার, বলছেন জার্মান অধিনায়ক |
সংবাদসংস্থা • ওয়ারশ |
ইতিহাস পাল্টানো হল না। ট্রফির খরা কাটানো হল না। অন্যতম ফেভারিট হিসেবে শুরু করে আবার ট্রফির এক ম্যাচ দূরে এসে থমকে গেল জার্মানি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিধ্বস্ত জার্মান শিবির। নিজেদের অক্ষমতায় ক্ষুব্ধ।
“সবচেয়ে তেতো সত্যিটা এই যে, এই দলটার আরও অনেক ভাল খেলার ক্ষমতা আছে,” সেমিফাইনালে ইতালির কাছে হেরে বলেছেন জার্মান অধিনায়ক ফিলিপ লাম। সঙ্গে যোগ করেছেন, “কিন্তু আমরা যথেষ্ট বুদ্ধি দিয়ে খেলতে পারিনি। ঠিক সময় নিজেদের ক্ষমতা না দেখাতে পারলে এ রকম ম্যাচ তো হারবই। ভীষণ, ভীষণ তেতো লাগছে এই হারটা।” এখানেই শেষ নয়। লাম আরও বলেছেন, “কয়েকটা বোকার মতো ভুল করেছি আমরা। ও রকম ভাবে গোল হতে দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি। ইতালির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়লে ম্যাচে ফিরে আসা খুব কঠিন।”
গ্রিসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম এগারোয় বড়সড় বদল করে ফল পেয়েছিলেন জোয়াকিম লো। ইতালি ম্যাচে কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য ভুগতে হল দলকে। বিশেষ করে রাইট উইংয়ে টনি ক্রুস কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। “মিডফিল্ডটা আরও শক্তিশালী করতে চেয়েছিলাম বলে টনিকে দলে নিয়েছিলাম,” ব্যাখ্যা জার্মান কোচের। বলেছেন, “ইতালির দুটো গোলই আমাদের ভুল থেকে হয়েছে। ওই জায়গাটায় খুব বেশি ডিফেন্ডার ছিল না। যে ক্রসটা থেকে বালোতেলি প্রথম গোলটা করল, সেটা আটকানো উচিত ছিল।”
গোটা টুর্নামেন্টে না হেরে সেমিফাইনালে এ রকম অবস্থা হল কী করে? জার্মান কোচের ব্যাখ্যা, “প্রথম দিকে ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এক বার পিছিয়ে পড়ার পরে আরও ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হচ্ছিল। যার জন্য আমাদের খেলায় সেই জমাট ভাবটা আর ছিল না। ০-২ পিছিয়ে পড়ার পর সব কিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমারা ভাল খেললেও ইতালির বিরুদ্ধে ০-২ পিছিয়ে পড়া প্রচণ্ড কঠিন।”
লো-র নেতৃত্বে ২০১০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারের পর ইউরোতেও সেই এক ফল। তবে এখনই ভেঙে পড়ছেন না জার্মান কোচ। বরং তিনি বলছেন, এটা দলের উন্নতির অংশ। “শুধুমাত্র আলোচনা করেই তো আর ট্রফি জেতা যায় না,” বলেছেন ৫২ বছরের কোচ। জার্মান জাতীয় দলের কোচ হিসেবে যিনি ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। সঙ্গে যোগ করেছেন, “ট্রফির জন্য স্পেনকেও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেমিফাইনালের হার বাদ দিলে এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। গত দু’বছরে দল অনেক উন্নতি করেছে। আজ পারলাম না তো কী হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও সুযোগ পাব।”
|
‘প্রচারলোভী’ রোনাল্ডোকে একহাত নানির |
সংবাদসংস্থা • ওয়ারশ |
ইউরো থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু পর্তুগিজ তারকা নানির রাগ পড়ছে না! বরং টিমের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে তিনি একহাত নিয়ে রাখছেন। সোজাসাপ্টা জানাচ্ছেন, ‘প্রচারলোভী’ রোনাল্ডোর জন্যই এ ভাবে ইউরো থেকে বিদায় নিতে হল পর্তুগালকে। সেমিফাইনাল টাইব্রেকারে রোনাল্ডো কেন শুরুতেই কিক নিতে যাননি, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে ফুটবলবিশ্বে। বিশেষ করে যখন তিনি দেখলেন, জাবি আলন্সোর কিক বাঁচিয়ে দিলেন পর্তুগিজ গোলকিপার। ঠিক ছিল, রোনাল্ডো শেষ কিক নিতে যাবেন। কিন্তু তার আগেই পতুর্গালের বিদায়-ঘণ্টা বেজে যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নানি। তাঁর মনে হচ্ছে, পাঁচ নম্বর কিকটা রোনাল্ডো নিতে চেয়েছিলেন কারণ, তা থেকে গোল করলে নায়ক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। নানি বলেছেন, “রোনাল্ডো নিজেই বলেছিল, ও পাঁচ নম্বর কিকটা নেবে।” সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, “আমি বরং কোচকে বলেছিলাম, যে কোনও সময় কিক নিতে আমি তৈরি। আমার কাছে ওটা কোনও সমস্যা নয়। কারণ পেনাল্টি শু্যট আউট নিয়ন্ত্রণ করে ভাগ্য। একটা কথা বলতে পারি। আমরা ও ভাবে হারার যোগ্য ছিলাম না।” |
|
|
|
|
|