অবিশ্বাস্য জিতেও রাগ কমছে না বুফোঁ-র |
ফাইনালে ফাব্রেগাসের চিন্তা বালোতেলি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তাঁরা দু’জন ইতালির জয়ের দুই নায়ক।
এক জন জেতার পরও রেগে! শেষের দিকের খেলায় মোটেই খুশি নন। ভয় পেয়েছিলেন এমনকী ৯ গোল হজম করার! বলছেন, “ভাগ্যের জোরে জার্মানি যদি ২-২ করে ফেলত, তা হলে অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে আমরা হয়তো ২-৯ হেরে যেতাম। শেষ পাঁচ মিনিটে আমরা যে রকম ঝুঁকি নিচ্ছিলাম সেটা প্রায় আগুন নিয়ে খেলার সামিল। ইউরোয় অত হালকা ভাবে কিছু নেওয়া যায় না।” |
|
আর এক জন আবার হাসছেন না মোটেই। তুলে রাখতে চাইছেন ফাইনালে জেতা পর্যন্ত। তাঁর কথায়, “আমরা কিন্তু বেশি হাসিনি। কাজ এখনও বাকি। রোমে ফিরলাম আর পোপের সঙ্গে দেখা করলাম নাসেটা কোনও কাজের কথা নয়। রবিবার আমরা তাই একই রকম লড়াই করব।”
ইতালি কোচ সিজার প্রান্দেলির বাহিনীর সেরা দুই অস্ত্র তাঁরা। দলের অভিজ্ঞতম দুই ফুটবলারও। তাঁরা হলেন জুভেন্তাসের দুই তারকা— জিয়ানলুইজি বুফোঁ এবং আন্দ্রে পির্লো।
ইতিমধ্যে যাঁরা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছেন স্প্যানিশ শিবিরে। তবে সেখানে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছেন মারিও বালোতেলি। অন্তত সেস ফাব্রেগাসের কাছে তো বটেই। তাঁর মন্তব্য, “ইতালিকে হারাতে গেলে বালোতেলির দিকে বাড়তি নজর রাখতেই হবে। দারুণ ফুটবলার।” গ্রুপের প্রথম ম্যাচে দেখা হয়েছিল ইতালি ও স্পেনের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্পেন যদি ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ২-২ ড্র করত, তা হলে ছিটকে যেত ইতালি। স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কি তা মনে করিয়ে বলছেন, “স্পেন কখনই ওই রকম করতে পারে না। সেটা খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নয়।” অন্য দিকে পির্লো-বুঁফো এবং প্রান্দেলির কথায় আবার প্রচ্ছন্ন হুমকির ইঙ্গিত।
বৃহস্পতিবার জার্মানির বিরুদ্ধে একদিকে পির্লো যখন সাজাচ্ছেন সুদৃশ্য পাসের ধারা, জিজি বুফোঁ তখন গোলপোস্টের নীচে তৈরি করছেন অদৃশ্য দেওয়াল। দু’জনকেই জেতার পর খুব বেশি হাসতে দেখা যায়নি। আবার অমিলও আছে। গেমমেকার পির্লো যেখানে এই ম্যাচকে বলেছেন, “একটি নিখুঁত ম্যাচ”। অধিনায়ক বুফোঁ সেখানে অভিভাবকের ভূমিকায়। ম্যাচ শেষে হাসি তো দূরে থাক, বরং প্রচণ্ড রেগেছিলেন শেষ কয়েক মিনিট সতীর্থদের গা-ছাড়া ভাব দেখে। নাচানাচি না করে হাঁটা লাগিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। |
|
সন্ত পির্লো। রোমের রাস্তায় অভিনব বিজয় মিছিল। ছবি: এএফপি |
টুর্নামেন্টের তিন নম্বর ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নিয়ে পির্লো কৃতিত্ব দিয়েছেন পুরো টিমকে। “গোটা টিমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এই রকম ম্যাচ জিতলে বোঝা যায় সকলে ১০০ শতাংশ দিয়েছে। নিখুঁত ম্যাচ।” পির্লো আরও বলছেন, “আমরা জানতাম ফাইনালে পৌঁছনো সম্ভব। আপাতত কাজ, জয়টাকে অল্প উপভোগ করেই স্পেন নিয়ে ভাবনা-চিন্তায় বসে পড়া।” কোচ প্রান্দেলি প্রশংসা করেছেন পুরো দলেরই। বলছেন, “জার্মানি ভাল দল নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমাদের সঠিক প্ল্যানিং ছিল ম্যাচটার জন্য।” তাঁর গলার সুরও মিলে যাচ্ছে দলের দুই অভিজ্ঞ ফুটবলারের সঙ্গে। প্রান্দেলির কথায়, “আনন্দ করার সময় এটা নয়। পরের ম্যাচটাই এখন ধ্যান-জ্ঞান। স্পেন অসাধারণ দল। কিন্তু আমরাও প্রস্তুত থাকব। যেমন বৃহস্পতিবার রাতে ছিলাম।” ছেলেদের উদ্বুদ্ধ করতে বলছেন, “যখন স্বপ্ন দেখবে, তখন শুধু বড় স্বপ্নই দেখো।”
|
যে ভাবে ম্যাচ হল |
|
জার্মানি |
ইতালি |
বল পজেশন |
৫৪ |
৪৬ % |
গোলের মোট চেষ্টা |
১৫ |
১০ |
লক্ষ্যে শট |
৮ |
৫ |
বাইরে শট |
৭ |
৫ |
শট বাঁচিয়েছে |
১ |
০ |
পোস্টে শট |
০ |
০ |
কর্নার |
১৪ |
০ |
অফসাইড |
০ |
২ |
|
|
|