|
|
|
|
নাগরিক জমি বিতর্ক |
শীর্ষ আদালতে বহাল অধিগ্রহণ, খারিজ জমি ফেরানোর আবেদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
রাঁচির নাগরি অর্ধ শতক আগে অধিগৃহীত জমি ফিরে পাওয়ার আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পর জমি মালিকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে শীর্ষ আদালতে হেরে গেলেও, কৃষিজমির অধিকার রক্ষার লড়াই আরও জোরদার করার কথা আজ ঘোষণা করেছেন উচ্ছেদ হওয়া নাগরির আদিবাসীরা। জমি পুনর্দখলের লড়াইয়ে এ বার শতাব্দী-প্রাচীন ছোটনাগপুর টেনেন্সি (সিএনটি) অ্যাক্ট কার্যকর করার দাবিকেই আঁকড়ে ধরবেন নাগরির কৃষকরা।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হতাশ নাগরির উচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলনের নেতা তথা নির্দল বিধায়ক বন্ধু তিরকে বলেন, “বেঁচে থাকার আর্জি নিয়ে আদিবাসীরা কোথায় যাবে! আদিবাসীদের জমির অধিকার রক্ষার জন্য সিএনটি অ্যাক্ট আছে। অথচ ওই আইন বলবৎ হচ্ছে না। ভয় দেখিয়ে, কোথাও প্রলোভন দেখিয়ে আদিবাসীদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা চলছে। রাজ্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে আদিবাসীরা বসে আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গরিব আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না।” সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মুখ না খুললেও, এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সিপিএম এ বার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও তাদের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে। দলের রাজ্য সম্পাদক গোপীকান্ত বক্সি বলেন, “নাগরির উচ্ছেদ হওয়া গরিব আদিবাসী কৃষকদের স্বার্থে জমি-জট খুলতে রাজ্যকে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।” নাগরির প্রসঙ্গে গোপীকান্তবাবু বলেন, “অর্ধ শতকেরও বেশি আগে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন জমিতে কিছু হয়নি। অথচ উচ্ছেদ হওয়া কৃষকরা ২০১১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত জমির খাজনা দিয়ে গিয়েছেন। উচ্ছেদ হওয়া ১৫৩ জন কৃষকের মধ্যে ১২৮ জন গোড়াতেই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করেন। পেটের টানে এখন কৃষকরা ওই জমিতে নতুন করে চষাবাদ শুরু করেছেন। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতে পাওয়ার পরেই সরকারি সিদ্ধান্ত বলবৎ করতে তারা সক্রিয় হবে। রাঁচির ডিসি বিনয় কুমার চৌবে জানিয়েছেন, আইআইএম, আইআইআইটি ও আইন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনটি ক্যাম্পাসের বাইরের প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তা দ্রুত শেষ করতে জেলা প্রশাসন তাদের সক্রিয় সহায়তা করবে। |
|
|
|
|
|