|
|
|
|
উদ্ধার ধসে আটক ত্রিপুরার ট্রেনযাত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
অসমের লামডিংয়ের পথে আটকে পড়া ট্রেনযাত্রীদের উদ্ধার করে আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ গুয়াহাটিতে পৌঁছে দেওয়া হল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এবং ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রায় তিন হাজার ট্রেনযাত্রী প্রথমে সড়কপথে লামডিং সংলগ্ন লঙ্কা স্টেশনে, তারপর সেখান থেকে বিশেষ ট্রেনে গুয়াহাটি পৌঁছন।
ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী মানিক দে জানান, ত্রিপুরার যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে জন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় গুয়াহাটিস্থিত ত্রিপুরা সরকারের ডেপুটি রেসিডেন্ট কমিশনার শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভাশিসবাবু জানান, পাহাড়লাইনে ধস নামায় প্রায় তিন হাজার ট্রেনযাত্রী আটকে পড়েছিলেন। কাল সকাল থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়। ছোট, বড় বাসে চাপিয়ে যাত্রীদের প্রথমে লামডিংয়ের কাছে লঙ্কা স্টেশনে আনা হয়। অনেকেই গুয়াহাটি ও কাছাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের উদ্যোগে গন্তব্যে রওনা হয়ে যান। যাঁরা যেতে পারেননি, এমন ১৬০০ যাত্রী লঙ্কা থেকে বিশেষ ট্রেনে আজ সকালে গুয়াহাটি পৌঁছন। প্রসঙ্গত, পাহাড়লাইনে ধস নামায় আটকে গিয়েছিলেন বরাক ভ্যালি এক্সপ্রেস, কাছাড় এক্সপ্রেস ও ত্রিপুরা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। এঁদের মধ্যে প্রায় চারশো যাত্রী ছিলেন ত্রিপুরার।
এ দিকে, গুয়াহাটি থেকে আজ সকালে ট্রেনে আটক যাত্রীদের আগরতলাগামী যাত্রীরা বিভিন্ন দূরপাল্লা বাসে রওনা হয়ে গিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, রাস্তার অবস্থা এবং আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে শনিবার বিকেলের মধ্যে তাঁরা ত্রিপুরায় পৌঁছে যাবেন। উল্লেখ্য, মেঘালয়ের বড়াইল পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতে জোয়াই-বদরপুর সড়কে ধস নামায় ছোট-বড় মালবাহী, যাত্রীবাহী প্রায় এক হাজারের বেশি যানবাহন তিনদিন ধরে আটকে। |
|
|
|
|
|