রাস্তায় বেড়া দেওয়া কেন্দ্র করে কংগ্রেস-সিপিএমের দফায় দফায় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটল মালদহের চাঁচলের মকদমপুর এলাকায়। জখম হন দু’পক্ষের ৬ জন। ৪ জনকে চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে তিন দফায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত টেংরিয়াপাড়ার দুই বাসিন্দা রাস্তার জমি বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে ৩০টি পরিবার। বিষয়টি নিয়ে তারা এসডিও কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর রাস্তার অবরোধ সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষকেই থানায় আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান আইসি। সেখানে সমাধানসূত্র মেলেনি। ফেরার সময় সুভাষ সাহা সহ ৩ কংগ্রেস কর্মীকে সিপিএম কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। সুভাষবাবুকে চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় সিপিএম নেতা আব্দুর রউফের নেতৃত্বে হামলা হয় বলে সুভাষবাবু ১০ সিপিএম কর্মীর নামে অভিযোগ জানান। এর পরে প্রধানের নেতৃত্বে এ দিন সকালে ক্লাবঘরে আটকে কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। কিছুক্ষন বাদেই টেংরিয়াপাড়া যান প্রহৃত সুভাষবাবুর স্ত্রী সুলতাদেবী। তাকে সেখানে সিপিএমের লোক মারধরের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
|
টিকিট কাউন্টারে পর্যাপ্ত কর্মী না-থাকায় হয়রানির অভিযোগ তুলে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আটকে স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো যাত্রী। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সামসি স্টেশনে বুধবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে কর্মীর অভাবের কথা অস্বীকার করেননি রেল কর্তৃপক্ষ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের এডিআরএম গোপাল কুমার বলেন, “সামসি স্টেশনের কর্মী সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।” প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনের কাউন্টারে থাকার কথা ৫ জন কর্মী। দুই কর্মী ছুটিতে থাকায় আছেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে একজন মঙ্গলবার টানা ডিউটির পরে বিশ্রামে থাকায় এ দিন কাউন্টারের দায়িত্বে ছিলেন একজন। এদিন বিক্ষোভে সময় স্টেশনে ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে অপেক্ষা করছিলেন সামসি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মোশারফ হোসেনও। তিনি বলেন, “৩ দিন থেকে কাউন্টারে গিয়েও সংরক্ষিত টিকিট পাচ্ছে না অনেক যাত্রী। এদিনও টিকিট মিলবে না বলে জানার পরে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।”
|
পুড়ে গেল পাঁচটি বাড়ি। বুধবার বেলা ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার গোপালপুরে। সামিউদ্দিন আহমেদ নামে এক যুবককে বালুরঘাট হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আহত সামিউদ্দিনের স্ত্রী নাজিমা বিবি রান্না করার সময় উনুন থেকে ঘরে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া আত্মীয়ের চারটি বাড়িতে ধরে যায়। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে। তার আগেই ৫টি পরিবারের যাবতীয় আসবাব, ধান চাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় জখম ৩০। যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে উল্টে জখম হয়েছে দুই শিশু সহ ৩০ জন। মালদহের রতুয়ার ভগবানপুরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বুধবার ঘটনাটি ঘটে। জখমদের সামসি ও গাজোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকালে চাঁচল-মালদহে যাওয়ার সময় নয়নজুলিতে উল্টে যায়। জল না থাকায় প্রাণে বাঁচলও জখম হন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।
|
ফুটপাত দখল করে গজিয়ে উঠেছে দোকান। রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে ছোট গাড়ি ও ট্রাক। বালুরঘাট শহরের বিশ্বাসপাড়া মোড় থেকে সাধনা মোড় পর্যন্ত রাস্তা চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তা জবরদখল মুক্ত করার দাবি পুরসভাকে জানিয়ে লাভ হয়নি। উল্টে হাই ড্রেনের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখায় জটিলতা বেড়েছে। বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমর সরকার বলেন, “হাই ড্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। এ ছাড়াও শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।” বালুরঘাটের পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আহমেদ বলেন, “দ্রুত রাস্তার ধার থেকে বেআইনি দখল উচ্ছেদের অভিযান শুরু হবে।” জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “পূর্ত দফতর অথবা পুরসভার তরফে শহরকে জবরদখল মুক্ত করতে অভিযান চালানো হলে পুলিশ সাহায্য করবে।” পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দাবি করেন, শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
|
অফিসের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক কর্মী। মালদহের রতুয়া-১ বিএলএলআরও অফিসে বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় দফতরের কর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনেও শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম তামরেজ আলি (৫৮)! তার বাড়ি মালদহেরই কুতুবগঞ্জে। রতুয়া-১ ভূমি সংস্কার দফতরে প্রধান করনিক পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।
|
ঝড়ে কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় তিন শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। রাত ১টা নাগাদ ঝড় শুরু হয়। আধ ঘণ্টার ঝড়ে কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার পুটিমারি ও ভেটাগুড়ি এলাকাতে ৫০টি বাড়ি ভেঙে পড়ে। কোচবিহার-১ ব্লকের চিলকিরহাট, পাটছড়া, হাড়িভাঙা, চান্দামারি এলাকাতেও প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়ে। বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। |