অশোকনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অশোকনগর থানার এজি কলোনি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম হরিশঙ্কর মণ্ডল। তার বাড়ি নব ব্যারাকপুরের বিলকান্দা এলাকায়। পুলিশের দাবি, জোড়া খুনের ঘটনায় সে জড়িত ছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন সকালে অশোকনগরের খোশদেলপুর এলাকায় রেল লাইনের ধার থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় দুই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তাঁদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। পরে তদন্তে জানা যায়, নিহতদের নাম সুদেব মণ্ডল এবং মাণ্টু ওরফে রাজা। তাঁদের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুরের কোটর্ঘর এলাকায়। তাঁদের আত্মীয়েরা বারাসত জেলা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ হরিশঙ্কর ও তার দলবলের কথা জানতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, হরিশঙ্করের নামে তোলাবাজি, অপহরণ-সহ নানাবিধ অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় হরিশঙ্কর জানায়, সুদেব ও মাণ্টু তার দলে ছিল। পরে তারা দল ছেড়ে দেয়। তার দাবি, তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে ওই দু’জন দুষ্কৃতীদের টাকা দিয়েছিল। পুলিশের অনুমান, এলাকা দখল ও তোলাবাজিকে কেন্দ্র করেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
|
এই শংসাপত্র ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র |
শংসাপত্রে বিধায়ক হিসাবে সই রয়েছে তাঁর। রয়েছে চলতি মাসের তারিখও। আর ভাঙড় কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে যাওয়া এক ছাত্রের হাতে থাকা সেই শংসাপত্রকে ঘিরেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। ভাঙড় কলেজে শিক্ষিকা-নিগ্রহের অভিযোগকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে শো-কজের পাশাপাশি সতর্কও করেছেন। ১৫ জুন তারিখে বিধায়ক হিসাবে তাঁর সই করা একটি শংসাপত্র নিয়ে বুধবার ভাঙড় কলেজে গিয়েছিলেন ওই ছাত্র। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়। যদিও বিধায়ক থাকাকালীন তিনি যে সরকারি প্যাড ব্যবহার করতেন, তা চুরি হয়ে গিয়েছে বলে এ দিনই ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আরাবুল। তাঁর আশঙ্কা, তাঁর সই করা পুরনো প্যাড ব্যবহার করে কেউ এই কাজ করতে পারে। এত দিন কেন অভিযোগ করেননি? আরাবুলের দাবি, “এত দিন বিষয়টি নজরে আসেনি। বুধবার জানতে পেরেই পুলিশের কাছে চুরির অভিযোগ করি।”
|
গরুর শশা খাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি অশোকনগরের বসতপুর এলাকার। মৃত যুবকের নাম কবীর হোসেন (২২)। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনার সময় কবীরের মা রিজিয়া খাতুনকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কবীরের এক আত্মীয় প্রতিবেশী আজিদ মণ্ডল ও তার মা রাসেদা বিবির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
|
আবগারি দফতরের কর্মীদের তাড়ায় মদ ও মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের চৌমাথায় মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। মহকুমা আবগারি দফতরের আধিকারিক সঞ্জীব দে বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দু’শো লিটার চোলাই এবং একটি মোটর সাইকেল আটক করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিক সমর স্বর্ণকারের নির্দেশে জেলাজুড়ে চোলাই বন্ধ করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
|
বাদুড়িয়ার বেলগড়িয়া গ্রামে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। নাম সালমা বিবি (১৯)। তাঁর কাকা আমিরুল গাজির অভিযোগ, বিয়েতে পণ দেওয়া সত্ত্বেও তার পর থেকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য সালমার উপর অত্যাচার চলত। তার জেরেই এ দিন ওই তরুণীকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোক। এই ঘটনায় সালমার স্বামী মহিদ সর্দার এবং শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ।
|
গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় কয়েকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় বসিরহাটের দন্ডিরহাটে তিন গ্রামবাসী আহত হন। তাঁদের বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতেরা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে। পুলিশ ওই নেতার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানান বসিরহাটের আইসি। মজনুর রহমান মণ্ডল নামে ওই কংগ্রেস নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
|
কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাটের বাসিন্দা গোপাল আধিকারীর (৫০)। আহত হয়েছেন তাঁর আরও কয়েকজন সঙ্গী। সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটে জম্মু-কাশ্মীর সড়কে। |