বুধবার সারাটা দিন কাটল রাত গভীর হওয়ার অপেক্ষায়।
সি আর সেভন বনাম তিকিতাকা। রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনার এল ক্লাসিকোর রেশ এখন দেশের হয়ে যুদ্ধে। সন্ধ্যা থেকেই তাই এই দিন পাড়ায় পাড়ায় ছিল পিকনিকের আমেজ। খাওয়াদাওয়া, আড্ডা সঙ্গে ইউরো সেমিফাইনাল। সেই ফুটবল জ্বরে পড়েছেন প্রশাসনিক কর্তা থেকে সাংসদ-মন্ত্রী সকলেই। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজীবকুমার বলেন, “ইউরো কাপের সব ম্যাচ যে দেখেছি এমনটা নয়। বেশ কিছু ম্যাচের শুরুটা দেখেছি। পুরো ম্যাচ দেখতে বসলে তো কাজ লাটে উঠবে। এই সেদিন যেমন ফ্রান্সের ম্যাচ দেখলাম। কিন্তু সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙবে না বলে নিজেকে সংযত করলাম। তবে আশা করছি ফাইনাল ম্যাচ দেখব।” বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীও এই দিন বলেন, “ইউরোর কোনও ম্যাচ এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। তবে যে দল উঠুক না কেন, ফাইনাল দেখব।” মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, “কোয়ার্টার ফাইনালেই পর্তুগালের ম্যাচ দেখেছি। ভাল লেগেছে। ম্যাচ দেখার চেয়ে ফুটবলকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা আমায় ছুঁয়েছে। ঠিক করেছি সেমিফাইনাল, ফাইনাল দেখব।” হিন্দ ক্লাবের সম্পাদক শেখর রায় বলেন, “সপ্তাহের মাঝখানেই সেমিফাইনাল। তবু সকলেই চাইছেন এক সঙ্গে বসে রাত জেগে খেলা দেখতে। তাই ক্লাবের মধ্যে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। দেখি শেষ পর্যন্ত কী হয়!” খাগড়ার ঘাটবন্দরের সবুজ সঙ্ঘ সেবা সমিতি’র সম্পাদক অপূর্বকুমার দত্ত বলেন, “ইউরো শুরুর দিন থেকেই ক্লাব ঘরে বসে বেশ কয়েক জন ক্লাব সদস্য, পরিচিত ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে খেলা দেখা চলছে। সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া রয়েছে। স্টোভ কিনে রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “রাতে প্রায় রোজই সাধারণত মেনু বলতে মুরগি মাংস আর ভাত।” রবিবার টাইব্রেকারে ম্যাচের মীমাংসা হওয়ায় খেলা শেষ হতে রাত ৩টে বেজে যায়। ওই রাতেই ক্লাব বন্ধ করে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। |